নয়া দিল্লি: দিল্লিতে শ্রদ্ধে খুনের ঘটনা সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত যত এগিয়েছে তত হাড়হিম করা তথ্য উঠে এসেছে হাতে। শ্রদ্ধা খুনের পর পরই এরকম একাধিক খুনের ঘটনার খবর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে। নিজের লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে নিকটবর্তী জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দিয়েছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। জানা গিয়েছিল, পাঁচটি ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করে খুন করেছিল আফতাব। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই সেকথা স্বীকার করে। এবার এই খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ।
তবে কী কী অস্ত্র এবং সেগুলি কোথা থেকে কখন উদ্ধার হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দিল্লি পুলিশ। তবে পুলিশের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করেই শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরোতে কেটেছিল আফতাব। এছাড়াও শ্রদ্ধার একটি আংটিও উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ উঠেছিল, সেই আংটি আফতাব নিজের এক বান্ধবীকে দিয়েছিল। ডেটিং অ্য়াপ বাম্বেলে এক মনরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। এমনকী নিজের ভাড়া বাড়িতে নতুন কেনা ফ্রিজে যখন শ্রদ্ধার দেহের টুকরো শীতল হচ্ছে তখন সেই বাড়িতেই নিজের সেই বান্ধবীকে নিয়ে আসত আফতাব। আর তাকে শ্রদ্ধার একটি আংটিও দিয়েছিল। সেই আংটিই এখন দিল্লি পুলিশের হাতে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ কাটার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহেই পুলিশ ৫ থেকে ৬ ইঞ্চির পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করেছিল। তারপর তা ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। সেই অস্ত্র ব্যবহার করেই শ্রদ্ধার দেহ কাটা হয়েথিল কি না তা জানতেই এই ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে নিজের ২৭ বছর বয়সী লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তারপর তার দেহ ৩৫ টুকরো করে সে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সাউথ দিল্লির মেহরোলিতে নিজের ভাড়া বাড়িতে ফ্রিজে রেখে দেয় দেহের টুকরোগুলি। তারপর কাছে জঙ্গলে সেই দেহাংশগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয়। তারপর গত ১২ নভেম্বর দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আফতাব। ওয়াকারের দেহের কিছু অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও তাঁর মাথার খুলি উদ্ধার হয়নি।