নয়া দিল্লি: শ্মশানের বাইরে শবদেহের লম্বা লাইন, কবরস্থানগুলিতেও নেই কোনও জায়গা। ভয়ঙ্কর করেনা পরিস্থিতিতে মৃত্যু মিছিল থামছে না দিল্লিতে। রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৫ জনের। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ২৩৫।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় বিধ্বস্ত রাজধানী। দৈনিক এত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে যে হাসপাতালগুলিতে জায়গা নেই। অনেকে আবার হাসপাতালে পৌঁছছেন অনেক দেরীতে। ফলে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ৯৭৭। আক্রান্ত হওয়ার হার বা পজেটিভিটি রেটও বেড়ে ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
কেন্দ্রের তরফে অক্সিজেন সরবরাহ করা হলেও প্রতিনিয়তই হাসপাতালগুলির কাছ থেকে অক্সিজেন ঘাটতির অভিযোগ আসছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। অন্যদিকে, শ্মশানগুলিতে দেহ সৎকারের জন্য জায়গা না থাকায় দিল্লি পুলিশের তরফে পুরসভাকে নতুন জায়গা খুঁজতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে অস্থায়ীভাবে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করা যাবে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছিলেন, ১৮ উর্ধ্ব সকলকে বিনামূল্যে অক্সিজেন দেওয়া হবে। তবে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন জানান, ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য যে পরিমাণ করোনা টিকার প্রয়োজন, তা বর্তমানে মজুত নেই। টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থায় অর্ডার দেওয়া হলেও কবে সেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তা এক-দু’দিনে জানা যাবে।