Electrocuted: বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মহিলার
Electrocuted amid heavy rain: টানা বৃষ্টিতে স্টেশনের বাইরে জল-কাদা জমে রয়েছে। কাদা এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই সাক্ষী ওই বৈদ্যুতিক খুঁটি ধরেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়েন সাক্ষী।
নয়া দিল্লি: তীব্র দাবদাহের পর অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। ৬২ বছর পর রবিবার দিল্লি (Delhi) ও মুম্বইয়ে (Mumbai) একসঙ্গে ঢুকেছে বর্ষা (Monsoon)। আর বর্ষার প্রথম দিনই রাজধানীতে বৃষ্টির জেরে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক মহিলার। দিল্লি স্টেশনে (New Delhi Station) বিদ্যুতের খোলা তারে স্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়েই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল কি না সে ব্যাপারে রেলের তরফেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সাক্ষী আহুজা। পূর্ব দিল্লির প্রীত বিহার এলাকার বাসিন্দা আহুজা। এদিন ভোরে বোন এবং তিন শিশুর সঙ্গে চণ্ডীগঢ় যাওয়ার জন্য নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই স্টেশনের বাইরে বৈদ্যুতিক খুঁটির খোলা তারে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় সাক্ষীর।
মর্মান্তিক এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর বোন মাধবী চোপরা জানান, নিউ দিল্লির ১ নম্বর গেটের বাইরে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তার বেরিয়ে রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে স্টেশনের বাইরে জল-কাদা জমে রয়েছে। কাদা এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই সাক্ষী ওই বৈদ্যুতিক খুঁটি ধরেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়েন সাক্ষী। ঘটনার পরই স্টেশন চত্বরে উপস্থিত অন্যরা সাক্ষীকে উদ্ধার করে LHMC (লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ) হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক সাক্ষীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সাক্ষীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় রেল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। ঘটনার পরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন মাধবী চোপড়া। মেয়ের এভাবে মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাক্ষীর বাবা লোকেশ কুমার চোপড়া বলেন, “বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তার নীচে ঝুলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।”
সাক্ষীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পরই অবশ্য দিল্লি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং কার গাফিলতি খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে। ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এছাড়া এই ঘটনায় কোনও রেলকর্মীর গাফিলতি রয়েছে কি না জানতে রেলের তরফেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দিল্লিতে। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নিউ দিল্লি স্টেশনের বাইরের রাস্তাও কাদা ও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এটা বর্ষার বৃষ্টি এবং রবিবার থেকে একসঙ্গে দিল্লি ও মুম্বইয়ে বর্ষা ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন মৌসম ভবনের অধিকর্তা ড. মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি জানান, ৬২ বছর পর এবছর ফের দিল্লি ও মুম্বইয়ে একসঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে। আর প্রথম দিনই রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই ৫ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা রেকর্ড। আহামী দু-দিন এরকম বৃষ্টিপাত চলবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।