নয়া দিল্লি: নৃশংসতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে! শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই দিল্লির ৩ বছরের এক শিশুর মুণ্ডকাটা দেহ উদ্ধার হল। শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা করার পর মাথা, হাত, পা কেটে দেহ ফেলে দেওয়া হয় মাঠে। পূর্ব দিল্লির প্রীত বিহারের বাসিন্দা শিশুটির প্রতিবেশীই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই অভিযুক্ত নাবালক। ইতিমধ্যে তাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রীত বিহারের বাসিন্দা ৩ বছরের শিশুটি গত ৩০ নভেম্বর বাড়ি থেকে অপহৃত হয়। তারপর মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মীরাটে চাষজমি থেকে শিশুটির মুণ্ড কাটা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটির কিছুটা দূরেই অবশ্য শিশুটির মুণ্ড পড়ে ছিল। ঘটনায় শিশুটির প্রতিবেশী ১৬ বছর বয়সি একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি জেরার মুখে সে অপরাধের স্বীকার করেছে বলে জানান দিল্লির সিনিয়র পুলিশ অফিসার অম্রুথা গুগুলোথ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রীত বিহার এলাকা। ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে জনতা। তারপর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার অম্রুথা গুগুলোথ জানান, অপহৃত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ ও সন্দেহের ভিত্তিতে জগৎপুরীত অভিযুক্তের বাড়িতে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মীরাটে আখজমি থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। তারপর পুলিশের একটি দল মীরাটে গিয়ে আখজমি থেকে শিশুটির মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করে। দেহটির কিছুটা দূরে মুণ্ড উদ্ধার হয়। শিশুটির পরনের জমা কাপড় থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
পুলিশ জানায়, শিশুটির একটি পা এবং একটি হাতও কাটা ছিল। সেগুলি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটির দেহ কুকুরকে খুবলে খেতেও দেখা গিয়েছে। কাটা মুণ্ড এবং দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে শিশুটিকে কেন এরকম নৃশংসভাবে হত্যা করা হল, তা স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।