প্রতি নিঃশ্বাসে বিষ, ‘গ্যাস চেম্বারে’ বন্ধ হয়ে গেল স্কুল! জারি একাধিক নিষেধাজ্ঞা

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 15, 2024 | 11:48 AM

Air Pollution: ঘন কুয়াশার সঙ্গে দূষণ, গোটা দিল্লিই কার্যত ধোঁয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে শূন্যে দাঁড়িয়েছে। ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে যান চলাচলে। বিমানও দেরিতে উড়ছে। দিল্লির রুটে অধিকাংশ ট্রেনই কমপক্ষে ২ ঘণ্টা দেরিতে চলছে।

প্রতি নিঃশ্বাসে বিষ, গ্যাস চেম্বারে বন্ধ হয়ে গেল স্কুল! জারি একাধিক নিষেধাজ্ঞা
দিল্লিতে বায়ু দূষণ।
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি:  বিষাক্তপুরী রাজধানী। শীত পড়তেই কুয়াশা নয়, ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি। বাতাসের গুণমান ‘ভয়াবহ’ রইল আজও। এই নিয়ে পরপর তিনদিন ‘ভয়াবহ’ মাত্রায় রয়েছে দিল্লির বাতাসের গুণমান। বাতাসের গুণগত মান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পৌঁছেছে ৪৯৮ -এ। বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর পাকিস্তানের লাহোর। সেখানে বাতাসের গুণগত মান ৭৭০। তারপরই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ক্ষতিকর পিএম ২.৫ মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এই সূক্ষ ধূলিকণা নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসের পর্দা ফুটো করে দেয়।

দিল্লির সবথেকে দূষিত জায়গাগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাহাঙ্গীরপুরী। সেখানে বাতাসের গুণগত মান ৪৫৮। এরপরে রয়েছে বাওয়ানা, সেখানে বাতাসের গুণগত মান ৪৫৫। ওয়াজিরপুরেও বাতাসের গুণগত মান ৪৫৫ রয়েছে। দিল্লির রোহিনীতে বাতাসের গুণগত মান ৪৫২ রয়েছে। পঞ্জাবী বাগে বাতাসের গুণগত মান ৪৪৩।

ঘন কুয়াশার সঙ্গে দূষণ, গোটা দিল্লিই কার্যত ধোঁয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে শূন্যে দাঁড়িয়েছে। ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে যান চলাচলে। বিমানও দেরিতে উড়ছে। দিল্লির রুটে অধিকাংশ ট্রেনই কমপক্ষে ২ ঘণ্টা দেরিতে চলছে।

এদিকে, প্রবল দূষণের কথা মাথায় রেখে আপাতত দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অতিশি নিজে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই কথা জানিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি অনলাইনেই পঠন পাঠন চলবে।

অন্যদিকে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশনের তরফে গ্রেডেড অ্যাকশন রেসপন্স প্ল্যান বা GRAP 3 কার্যকর করা হয়েছে।  এর অধীনে-

  • অত্যাবশকীয় বাদ দিয়ে সমস্ত নির্মাণ ও ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • বিএস-৩ পেট্রোল ও বিএস-৪ ডিজেল চারচাকার গাড়ির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ ও নয়ডাতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
  • জরুরি দরকার ছাড়া ডিজেল জেনারেটরও ব্যবহার করা যাবে না।
  • কাঁচা রাস্তায় ভারি যান চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
  • রঙ করা, সিমেন্ট, প্লাস্টার ও গ্যাস কাটিংয়ের মতো কাজেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতে আজ ফের বৈঠকে বসছে দিল্লি সরকার। জোড়-বিজোড় (Odd Even) পদ্ধতিতে ফের গাড়ি চালানোর নিয়ম ফেরানো হবে কি না, তা নিয়েও  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হৃতে পারে।

Next Article