Ahmedabad plane crash: DNA পরীক্ষা সময় সাপেক্ষ! দাঁত দিয়ে যাবে চেনা? স্বজনহারাদের ভরসা এখন ডেন্টিস্টরা
Ahmedabad plane crash: একদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া দেহ চিহ্নিতকরণ এত দ্রুত সম্ভব নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পরই মৃতদের আসল সংখ্যাটা জানা যাবে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। তাই এবার চ্যালেঞ্জ নিলেন ডেন্টিস্টরা।

আমেদাবাদ: অভিশপ্ত বিমানটি থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে মাত্র একজনকে। তা নিয়েই সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। এদিনই তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিঘাত এতটাই তীব্র যে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল সব দেহ। এদিকে তথ্য বলছে, কেবিন ক্রু নিয়ে বিমানে ছিলে মোট ২৪২ জন। একজন বাদ দিয়ে আরও কেউই বেঁচে নেই বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেহ উদ্ধার হলেও সেগুলির অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে তাঁদের চিহ্নিত করতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে স্বজনদের সম্ভাব্য মৃত্যু জেনেও দেহটুকুও হাতে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। এমতাবস্থায় এবার দেহ চিহ্নিত করতে এবার নতুন রাস্তায় হাঁটছেন চিকিৎসকরা।
একদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া দেহ চিহ্নিতকরণ এত দ্রুত সম্ভব নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পরই মৃতদের আসল সংখ্যাটা জানা যাবে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। তাই এবার চ্যালেঞ্জ নিলেন ডেন্টিস্টরা। মৃতদেহ সনাক্তকরনে ভরসা ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া বা পরিবারের কাছে থাকা হাসিমুখের ছবি।
সোজা কথায়, অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ সনাক্তকরণে এখন ভরসা ডেন্টিস্টরা। ডিএনএ পরীক্ষার ক্ষেত্রে রিপোর্ট হাতে পাওয়া যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। কিন্তু দাঁতের স্ট্রাকচার পরীক্ষা করে ব্যক্তির পরিচয় নিরূপণ করার অত্যাধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করছেন আমেদাবাদের সিভিল হসপিটালের চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তির হাসি মুখের ছবি হাতে পেলেই, তা থেকে দাঁতের অ্যান্টি মর্টেম রিপোর্ট তৈরি করছেন চিকিৎসকরা। এরপর মৃতদেহের দাঁত পরীক্ষা করে সেই রিপোর্টের সঙ্গে মেলানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩০টি মৃতদেহের দাঁত পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
