দেওঘর : মাঝপথে আটকে পড়েছিল রোপওয়ে। সেখান থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। শুধু তাই নয়, উদ্ধারকাজ চলার সময়ও নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই মহিলার। অভিশপ্ত সেই রোপওয়ে আটকে ছিল টানা ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময়। দেওঘরের ওই ঘটনায় যখন ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তখন সে রাজ্যের সরকার দায় চাপাচ্ছে দামোদর রোপওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রা লিমিটেডের ঘাড়ে। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, ২০১৯ সালেই লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল, তারপরও রোপওয়ে বন্ধ করেনি ওই সংস্থা। এ দিকে, দামোদর রোপওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রা লিমিটেডের দাবি, মেয়াদ বাড়ানোর শর্ত ছিল চুক্তির সময়েই।
ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজমের ডিরেক্টর রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, রবিবারই রোপওয়েতে কিছু সমস্যা হয়েছিল, আর তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, চুক্তি ও লাইসেন্স দুটোই শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালে। তিনি আরও জানান, ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। আর কোভিড-কালে সেই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।
এ দিকে, দামোদর রোপওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রা লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মহেশ মাইতি জানান, এখনও ওই রোপওয়ে থেকে যে আয় হয়, তার ভাগ নেয় রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, চুক্তি হওয়ার সময়েই বলা হয়েছিল, মেয়াদ ফুরনোর পর দু বছর মেয়াদ বাড়ানো হবে। আর সেই কারণেই রোপওয়ে চালানো হচ্ছিল।
রবিবার ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পর্যটকদের অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধারের সময় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ফলে দেওঘর রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে। রবিবার বিকেলে রোপওয়েতে চেপেই দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে গিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা। ওই দিন দুপুরের পর আচমকা দু’টি রোপওয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তার জেরেই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। রোপওয়ে ছিঁড়ে মৃত্যু হয় দুই পর্যটকের। পরে উদ্ধার কাজ চলার সময় হেলিকপ্টার থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দুই পর্যটকের। ফলে সব মিলিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের।
আরও পড়ুন : Nabadwip Murder: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, পিছন থেকে মহিলার কানের পাশ ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল গুলি!