নয়া দিল্লি : এই মাসের শুরুর দিকেই গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল বিমান পরিবহণ সংস্থা ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের (Indigo Airlines) বিরুদ্ধে। এবার সেই অভিযোগেই এই সংস্থাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল ডিজিসিএ (DGCA)। এই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, পরিবার সমেত এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে বিমানে উঠতে বাধা দিয়েছিল এই বিমান সংস্থা। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল নেট দুনিয়ায়। তারপর কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজে এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবং বিমান পরিবহন সংস্থার দোষ প্রমাণিত হলে তাকে কঠোর সাজা দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। এবার সেই ঘটনাতেই দোষী সাব্যস্ত হল ইন্ডিগো এয়ারলাইনস।
ঘটনার সূত্রপাত ৭ মে। সেদিন ঝাড়খণ্ডের রাঁচি বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর বিমানে সফরের কথা ছিল এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশু ও তার পরিবারের। কিন্তু ইন্ডিগোর এক কর্মী পরিবার সমেত সেই শিশুকে বিমানে উঠতে বাধা দেয়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নজরে আসে। এবং তিনি এই বিষয়ে ইন্ডিগোর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেন। প্রথম থেকেই নিজেদের দোষ অস্বীকার করেছিল এই সংস্থা। সংস্থার সিইও রণজয় দত্ত বলেছিলেন, ‘বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই বিশেষভাবে সক্ষম সেই শিশু ও পরিবার বিমানে উঠতে পারেনি। কারণ শিশুটি ভয় পেয়েছিল। গ্রাউন্ড স্টাফরা বিমান ছাড়ার শেষ সময় অবধি তার স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করলেও সে স্বাভাবিক হয়নি।’ তবে এক সহযাত্রী এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, ইন্ডিগো কর্মীরা অস্বাভাবিকভাবে ওই শিশুটির ওপর চিৎকার করেছিলেন। অন্যান্য যাত্রীরাও এই আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু সংস্থার কর্মীরা কোনও কথাই শোনেননি বলেই জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তেই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হল। এদিন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধেই প্রমাণ মিলেছে। তারা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিগোর গ্রাউন্ড স্টাফরা বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে ঠিকভাবে সামলাতে পারেননি। ফলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে ওঠে।’ বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘কর্মীদের আরও শিশুর প্রতি আরেকটু সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল। তাতে শিশুটি শান্ত হয়ে যেত।’ এবার সেই দোষেই ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল বিমান সংস্থাকে। পরবর্তীতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বিমান সংস্থার পরিষেবায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।