নয়া দিল্লি: ২০২৩ সালের ২৮ মে দিনটি ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার, জাতির উদ্দেশ্যে নয়া সংসদ ভবন উৎসর্গ করলেন তিনি। তারপর, নয়া সংসদ ভবন থেকে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, “কোনও জাতির উন্নয়নের যাত্রায় কিছু কিছু মুহূর্ত অমর হয়ে যায় এবং সেই দিনগুলির মধ্যে ২৮ মে তারিখটিও থাকবে।” ১৯২৭ সালে দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছিল পুরনো সংসদ ভবনটির। তারপর ৯৬ বছর কেটে গিয়েছে। অতি ব্যবহারে জীর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনটি। তাই নতুন একটি ভবনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তাছাড়া স্থান সঙ্কুলানের সমস্যাও ছিল। নয়া ভবনটি কোথায় কোথায় আলাদা, পুরনো ভবনটির থেকে? আসুন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে –
ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল পুরনো সংসদ ভবনটি। সময় লেগেছিল ৬ বছর। প্রাথমিকভাবে কাউন্সিল হাউস নামে পরিচিত ছিল ভবনটি। স্বাধীনতার পর ২৪,২৮১ বর্গমিটার জায়গায় তৈরি ভবনটিকে সংসদ ভবন হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। সেই তলনায় নতুন ভবনটি তৈরি হয়েছে অনেকটা বেশি জায়গা নিয়ে, ৬৫,০০০ বর্গমিটার। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর এর বিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতাধীন এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে মাত্র আড়াই বছরের মধ্যেই।
পুরনো সংসদ ভবনটি ছিল বৃত্তাকার। মধ্য প্রদেশের মোরেনার চৌসথ যোগিনী মন্দিরের এর অনুকরণে এর নকশা করা হয়েছিল।য ২৫০০ পাথর কাটিয়ে এবং রাজমিস্ত্রী এই ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। অন্যদিকে নতুন ভবনটিতে পুরনো সংসদের মতো কোনও সেন্ট্রাল হল রাখা হয়নি। তার বদলে উভয় কক্ষের সাংসদদের জন্য রয়েছে সেন্ট্রাল লাউঞ্জ। আর লোকসভা এবং রাজ্যসভার নকশা করা হয়েছে যথাক্রমে জাতীয় পাখি ময়ূর এবং জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে।
নতুন ভবনটির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পরে যখন সাংসদদের সংখ্যা আরও বাড়বে, তাঁরকা কোথায় বসবেন?” পুরনো সংসদ ভবনে রাজ্যসভায় ২৪৫ এবং লোকসভায় ৫৫২টি আসন ছিল। অদূর ভবিষ্যতেই দুই কক্ষের সদস্য সংখ্যা বাড়তে পারে। এই কথা মাথায় রেখে নয়া ভবনে রাজ্যসভা এবং লোকসভায় আসন সংখ্যা রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৩৮৪ ও ৮৮৮।
পুরোনো সংসদ ভবনটি যেখানে ছিল বৃত্তাকার, নয়া ভবনটি ত্রিকোণাকার। উপরের ছবিতে পুরনো ও নতুন ভবনে লোকসভা, রাজ্যসভা, লোকসভা, সেন্ট্রাল লাউঞ্জ, সাংবিধানিক হল এবং কার্যালয়ের অবস্থানের পরিবর্তন ধরা পড়েছে।