নয়া দিল্লি: আজ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ইতিমধ্যেই সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর জায়গাতেই নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন আরেক কংগ্রেস নেতা তথা মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। আগে থেকে পরিকল্পনা করে নয়, হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেন যে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন খোদ দিগ্বিজয় সিং।
জল্পনা আগেই তৈরি হয়েছিল তাঁর মন্তব্য, বৃহস্পতিবার দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণার পরই জানা যায়, গেহলটের বদলে প্রার্থী হতে চলেছেন মধ্য প্রদেশের দুইবারের মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের অংশ হতে চলেছেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই দিগ্বিজয় সিং বলেন, “যদি আমি সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হই, তবে দলের সিদ্ধান্ত মতোই কাজ করব। ঠিক যেমন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হয়। এক জন ভাল নেতা কখনই স্বৈরাচারী হন না, বরং সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেন।”
সভাপতি নির্বাচনের অংশ হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যখন দেখলাম ময়দান ফাঁকা, তখন ভাবলাম নির্বাচনে অংশ নিতে সমস্যা কোথায়। প্রাথমিকভাবে দলের তরফে প্রার্থীর নাম ঠিক করার কথা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি আলাদা।”
প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মেনেই চলব আমি। আমি কোনও অফিশিয়াল বা মনোনীত প্রার্থী নই। আমি স্বেচ্ছায় এই নির্বাচনে লড়ছি, তাই আমি সবাইকে প্রশ্ন করব। তারা যদি মনে করেন আমি যোগ্য়, তাহলে ভাল।”
উল্লেখ্য, এর আগে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকেই কংগ্রেসের ‘অফিশিয়াল’ প্রার্থী হিসাবে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তাঁর প্রার্থী হওয়া ঘিরে রাজস্থান কংগ্রেসে অন্তর্কলহ শুরু হতেই ক্ষুব্ধ হয় শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান অশোক গেহলট, গতকাল দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তিনি দলীয় কোন্দলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
এখনও অবধি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে নিশ্চিত প্রার্থী হিসাবে শশী থারুরের নামই সামনে এসেছে। দ্বিতীয় নাম হিসাবে উঠে এলেন দিগ্বিজয় সিং। তবে সূত্রের খবর, এই নির্বাচন দ্বিমুখী নয়, ত্রিমুখী হতে পারে। কংগ্রেসের তরফে নিজস্ব একজন প্রার্থীর নাম মনোনয়ন করা হতে পারে। সম্ভাব্য সেই প্রার্থী হিসাবে মুকুল ওয়াসনিক ও মীরা কুমারের নামই উঠে এসেছে।