নয়া দিল্লি: “দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন বহু তৃণমূলী বিধায়ক। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।” বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত বহু তৃণমূল বিধায়ক তাঁকে ভোটও দেবেন।” বর্তমানে সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন দিলীপ ঘোষ।
এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-এর তরফে প্রার্থী হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, প্রার্থীর নাম আগে জানলে ভেবে দেখত তৃণমূল। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুকে তৃণমূল সমর্থন না করলে, বাংলায় কিছুটা চাপে পড়তে পারে ঘাসফুল শিবির। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলির ভোট মমতা-র ঝুলি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে, তেমন আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূল অন্দরেও। এরপরই আবার লোকসভা নির্বাচন।
দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন না করলে আদিবাসীদের একটা বড় অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশ থেকে সরে দাঁড়াতে পারে, অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জঙ্গলমহলকে নিয়ে বাংলার ৪৭টি বিধানসভা ও সাতটি লোকসভা আসনে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। সেখানে তৃণমূল ভোটব্যাঙ্কে ধস দেখা দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি একটা ব্যাপারে নিশ্চিত, তৃণমূলের অনেক বিধায়ক গোপনে দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দেবেন।” এক্ষেত্রে জঙ্গলমহলের বিধায়কদের দিকেই দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিত করছেন বলে দাবি দিলীপ ঘোষের।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, দ্রৌপদী মুর্মু একজন মহিলা আবার আদিবাসী। যেহেতু নেত্রী তাঁর ‘সফট কর্নার’ প্রকাশ করেছেন, সেক্ষেত্রে দলের নেতারাও সেই দিক থেকেই বিষয়টি ভাবছেন বলে বিশ্লেষকদের মত।