নয়া দিল্লি: ডিএমআরসি অর্থাৎ দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ,তাদের সমস্ত লাইনের যাত্রীদের জন্য একটি অত্যাধুনিক সুবিধা চালু করল। এখন যাত্রীরা কিউআর কোড স্কান করেই মেট্রোয় এন্ট্রি বা অক্সিট করতে পারবেন। ওই কিউআর কোড দেওয়া থাকবে কাগজের টিকিটে। ডিএমআরসি জানিয়েছে যে এটি একটা ‘ট্রান্সপারেন্ট’ পদক্ষেপ। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তারা ফিডিক্য়াল টোকেনের কনসেপ্টের ইতি ঘটাতে চলেছে। বর্তমানে, টোকেনের পাশাপাশি যাত্রীরা স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে কিউআর কোড দেওয়া কাগজের টিকিটও কিনতে পারবেন। সোমবার একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ডিএমআরসি এই নতুন সুবিধার জন্য মেট্রোর ‘এএফসি গেট’ এবং টোকেন বা গ্রাহক পরিষেবা কাউন্টারগুলিকে আপগ্রেড করেছে।
কীভাবে কাজ করে এই কিউআর টিকিট?
– যে স্টেশনে কিউআর কোড দেওয়া টিকিটটি কাটা হয়েছে, সেখান থেকে যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন। ওই স্টেশন ছাড়া অন্য স্টেশন থেকে প্রবেশ করা যাবে না।
– এমনিতে কিউআর কোডের টিকিটের মূল্য অফেরতযোগ্য। তবে, ‘রেভিনিউ সার্ভিস’ ফেল করলে, নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে ‘ইনসিডেন্ট ফেয়ার মোড’ প্রয়োগ করে কিউআর কোডের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হবে।
– QR ভিত্তিক কাগজের টিকিট ইস্যু করার পরবর্তী ৬০ মিনিট পর্যন্ত কোডটি অ্যাক্টিভেট থাকবে। অর্থাৎ, ওই সময়ের মধ্য়েই যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হবে।
– যদি কোনও যাত্রী ওই ৬০ মিনিটের মধ্যে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ না করেন, তবে টিকিটটির আর বৈধতা থাকবে না। ওই যাত্রী ওই টিকিটে থাকা কোডটি দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন না। এর জন্য তাঁকে টিকিটের মূল্যও ফেরত দেওয়া হবে না।
– বর্তমানে কিউআর কোড ভিত্তিক কাগজের টিকিট শুধুমাত্র এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে ব্যবহারের জন্য ইস্যু করা হবে। যাত্রী যদি মাঝপথে অন্য কোনও স্টেশনে নেমে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে কোডটি প্রয়োগ করলে এএফসি গেট খুলবে না। তবে, কাস্টমার কেয়ার অপারেটর ওই যাত্রীকে বিনামূল্যে একটি এক্সিট টিকিট দেবেন।
– কোনও যাত্রী যদি তার স্টেশনের পরের কোনও স্টেশন থেকে বের হতে চান, তাহলে কিউআর কোড ভিত্তিক কাগজের টিকিট ব্যবহার করে এএফসি গেট খুলবে না। যদি, ওই স্টেশনের টিকিটের মূল্য যাত্রীর কাটা কিউ আর কোড টিকিটের থেকে বেশি হয়, তাহলে যাত্রীর কাছ থেকে সারচার্জ আদায় করা হবে। এরপর কাস্টমার কেয়ার অপারেটর একটি এক্সিট টিকিট ইস্যু করবেন।