নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। বছর দুয়েক আগে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’-র অঙ্গ হিসাবে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি একে জন আন্দোলনের রূপ দেন। দেশপ্রেম ও একতার প্রতীক হিসেবে প্রত্যেক নাগরিককে বাড়ি, অফিস, ইনস্টিটিউটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানান। ২০২২ সালে স্বাধীন দিবস উদযাপনের সময় শুরু হয় ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান। এই অভিযান শুধু দেশপ্রেমে আটকে থাকেনি। মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছেও নতুন দিশা হয়ে দেখা দেয়। কীভাবে? ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন।
সংস্কৃত মন্ত্রক ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে। সেই মন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন বলেন, “হর ঘর তিরঙ্গা যেমন জন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, তেমনই দেশজুড়ে হাজার হাজার মহিলাদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। দেশজুড়ে মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি জাতীয় পতাকা তৈরি শুরু করে। আর এখন জাতীয় পতাকা সবচেয়ে বেশি তৈরি করছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি।” ২০২২ সালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০২২ সালে হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান শুরুর পর জাতীয় পতাকার জোগান নিয়ে চিন্তা ছিল। বড় বড় সংস্থার কাছ থেকে পতাকা নিয়ে সংস্কৃত মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে দিয়েছিল।” প্রায় সাড়ে সাত কোটি জাতীয় পতাকা রাজ্যগুলিকে সরাসরি কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।
২০২৩ সালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বিপুল পরিমাণে পতাকা তৈরি করে। উত্তর প্রদেশের উদাহরণ দিয়ে গোবিন্দ মোহন বলেন, “হর ঘর তিরঙ্গা অভিযানের দ্বিতীয় বছর কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে আড়াই কোটির মতো জাতীয় পতাকা পাঠিয়েছিল। উত্তর প্রদেশ সরকার ২০২২ সালে কেন্দ্রের কাছ থেকে সাড়ে ৪ কোটি পতাকা কিনেছিল। এক বছর পরই তারা জানাল, কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও জাতীয় পতাকা নেওয়ার দরকার পড়বে না। তাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি পর্যাপ্ত জাতীয় পতাকা তৈরি করেছে।”
২০২৪ সালে কেন্দ্রের কাছ থেকে মাত্র ২০ লাখ জাতীয় পতাকা চেয়েছে রাজ্যগুলি। বাকি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিই তৈরি করছে। এখন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিই সবচেয়ে বেশি পতাকা তৈরি করছে। এর ফলে মহিলাদের নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে উল্লেখ করে গোবিন্দ মোহন বলেন, এক-একটি জাতীয় পতাকা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় প্রায় ২৫ কোটি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়। ফলে হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান শুধু দেশপ্রেমে আটকে নেই, দেশজুড়ে মহিলাদের কাছে কর্মসংস্থানের নতুন দিশা হিসেবেও উঠে এসেছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)