নয়াদিল্লি: জানেন দেশের সবচেয়ে ধনী বিধায়কের পকেটে কত টাকা রয়েছে? সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস। নির্বাচন কমিশনে বিধায়কদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই রিপোর্ট তৈরি করেছে তাঁরা। যেখানে ঠাঁই পেয়েছে দেশের সবচেয়ে ধনী ১০ বিধায়ক। সেই একই রিপোর্টে কিন্তু নাম রয়েছে দরিদ্রতম বিধায়কদেরও।
ADR-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক মুম্বইয়ের ঘাটকোপার পূর্ব কেন্দ্রের পরাগ শাহ। বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেছেন তিনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেই তালিকায় পরাগ শাহের পরেই রয়েছে কর্ণাটকের কনকপুরার বিধায়ক তথা উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
এরপরই এই তালিকায় নাম রয়েছে কর্ণাটকেরই আরও এক বিধায়কের। নাম কে এইচ পুট্টাস্বামী গাওডা। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। বলে রাখা ভাল, এই তালিকায় কিন্তু নাম রয়েছে এনডিএ শরিক চন্দ্রবাবু নায়ডুর। তাঁর কাছে রয়েছে প্রায় ৯৩১ কোটি টাকার সম্পত্তি।
এই কোটিপতি বিধায়কদের তালিকায় চার জন বিধায়ক খোদ অন্ধ্রপ্রদেশের। চন্দ্রবাবু নায়ডু ছাড়াও নাম রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডিরও। তাঁর আবার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৫৭ কোটি টাকা। এছাড়াও, নাম রয়েছে গুজরাটের এক বিধায়কেরও।
উল্লেখ্য, ধনীদের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের বিধায়কদের নাম না এলেও, দরিদ্র বিধায়কের কথা উঠতেই, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেখা মিলল তিন বিধায়কের। এই তালিকায় সবচেয়ে দরিদ্র বিধায়ক হিসাবে নাম রয়েছে ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ৭০০ টাকা।
পাশাপাশি, নাম রয়েছে নবদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক পুণ্ডরীক্ষ সাহার। নির্বাচন কমিশনে কাছে পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের চন্দনা বাউড়িরও। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬২ হাজার টাকা। বঙ্গ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে বিহার, কাশ্মীর, ওড়িশা ও ত্রিপুরার একজন করে বিধায়কের নাম।