AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tejashwi Yadav: তেজস্বী যাদবের কাছে কি জাল ভোটার কার্ড আছে? নম্বরের গোলমালেই উঠছে বড় প্রশ্ন

Bihar SIR: এপিক নম্বর হল ইলেক্টোরাল ফটো আইডেন্টিটি কার্ডে থাকা নম্বর। তেজস্বী যাদব নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসড়া ভোটার লিস্টে যে এপিক নম্বর দিয়ে খুঁজেছিলেন, তাতে কোনও রেকর্ড পাওয়া যায়নি।

Tejashwi Yadav: তেজস্বী যাদবের কাছে কি জাল ভোটার কার্ড আছে? নম্বরের গোলমালেই উঠছে বড় প্রশ্ন
তেজস্বী যাদব।Image Credit: PTI
| Updated on: Aug 03, 2025 | 7:48 AM
Share

পটনা: বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই পড়ে গিয়েছে শোরগোল। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দাবি করে বসেন যে খসড়া ভোটার লিস্টে তাঁর নাম নেই। তিনি নির্বাচনে লড়বেন কী করে? এর কিছুক্ষণ পরই নির্বাচন কমিশনের তরফে উত্তর আসে। দেখিয়ে দেওয়া হয় ভোটার লিস্টে ৪১৬ নম্বরে তেজস্বীর নাম জ্বলজ্বল করছে। এইসব কিছুর মাঝেই অন্য এক বিতর্কে ফেঁসে গেলেন লালু-পুত্র। প্রশ্ন উঠছে, তেজস্বীর কাছে কি দুটি এপিক নম্বর রয়েছে? কোনও ব্যক্তির কীভাবে দুটি এপিক নম্বর থাকতে পারে?

এপিক নম্বর হল ইলেক্টোরাল ফটো আইডেন্টিটি কার্ডে থাকা নম্বর। তেজস্বী যাদব নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসড়া ভোটার লিস্টে যে এপিক নম্বর দিয়ে খুঁজেছিলেন, তাতে কোনও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এদিকে, নির্বাচন কমিশন তেজস্বীর নাম খুঁজে বের করেছে, তবে তার এপিক নম্বর আলাদা।

তেজস্বীর নাম ভোটার তালিকায়।

যে দুটি এপিক নম্বর নিয়ে এত চর্চা, তার মধ্যে প্রথমটি হল RAB0456228 এবং দ্বিতীয়টি হল RAB2916120।  তেজস্বীর নাম না থাকার দাবির পরই পটনার জেলাশাসক জানান, ২০২০ সালের নির্বাচনী মনোনয়নে যে এপিক নম্বর উল্লেখ করেছিলেন তেজস্বী, সেই নম্বরেই খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। ২০১৫ সালের ভোটার তালিকায়ও তাঁর এই EPIC নম্বর (RAB0456228) ছিল।

তাহলে প্রশ্ন উঠছে, তেজস্বীর কাছে দ্বিতীয় এপিক নম্বর RAB2916120 এল কোথা থেকে? নির্বাচন কমিশন সূত্রে দাবি, তেজস্বীর কাছে থাকা দ্বিতীয় এপিক নম্বরটি ভুয়ো। কোনও ব্যক্তির দুটি এপিক নম্বর থাকতে পারে না। ভোটার কার্ডে নাম, ঠিকানা পরিবর্তন করা হলেও, এপিক নম্বর একই থাকে।

এই ঘটনা নিয়ে জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, “তেজস্বী যাদবের দুটি নির্বাচনী পরিচয়পত্র রয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের তদন্ত করা উচিত।”

কখন ভিন্ন এপিক নম্বর তৈরি হতে পারে?

সাধারণত, এপিক (EPIC) নম্বর পরিবর্তন করা যেতে পারে শুধুমাত্র তখনই, যদি সিস্টেমে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর জারি করা হয় অথবা যদি কোনও গুরুতর ক্লারিকাল বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকে। এপিক নম্বর পরিবর্তন নির্বাচনী নিবন্ধন অধিকর্তা (ERO) দ্বারা প্রশাসনিক ভিত্তিতে করা হয়, কোনও প্রার্থী বা নির্বাচনের নির্দেশে নয়। অর্থাৎ, যদি আপনার নম্বর পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়, তবে তার প্রক্রিয়াটি প্রশাসনিক সংশোধনের অধীনে করা হবে। এর জন্য, একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি কেবল স্থানীয় ERO-এর মাধ্যমে করা হয়, নির্বাচন কমিশন সরাসরি ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই প্রক্রিয়াটি করে না।