Dog Meat in Momo: চিকেন মোমোয় ভরা কুকুরের মাংসের পুর, তল্লাশি চালাতেই মিলল কাটা মুণ্ড!

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 19, 2025 | 1:28 PM

Dog Meat in Momo: কারখানাতেই তল্লাশির সময় পচা, নিম্নমানের বিভিন্ন খাবার ও মাংস মেলে। ফ্রিজ খুলতেই আধিকারিকরা চমকে যান। দেখেন, ভিতরে রাখা রয়েছে পাগ প্রজাতির একটি কুকুরের মাথা! এরপরই শোরগোল পড়ে যায়।

Dog Meat in Momo: চিকেন মোমোয় ভরা কুকুরের মাংসের পুর, তল্লাশি চালাতেই মিলল কাটা মুণ্ড!
প্রতীকী চিত্র।
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

চণ্ডীগঢ়: বিকেল হলেই মনটা ‘মোমো-মোমো’ করে? এই খবর দেখে মোমো-তে কামড় বসানোর আগে দু’বার ভাববেন। চিকেন মোমোয় পুর হিসাবে যে মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আসলে মুরগির নয়, কুকুরের! দিনের পর দিন বিভিন্ন দোকানে সেই মোমোই বিক্রি হয়েছে। আর লোকজন বিশ্বাস করে তা খেয়েওছে! মোমো তৈরির কারখানায় তল্লাশি চালাতেই মিলল কুকুরের কাটা মুণ্ড।

করোনাকালে খাস কলকাতায় পাঠার মাংসের বদলে কুকুরের মাংস বিক্রি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল। আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার পঞ্জাবে মোমো কারখানায় মিলল কুকুরের মাংস। খাবারের পরিচ্ছন্নতা ও গুণমান পরীক্ষা করার জন্যই অভিযান চালিয়েছিল পুরসভার মেডিক্যাল টিম। মোহালির মাট্টুরে একটি ফাস্ট ফুড ফ্যাক্টরিতে তল্লাশি চালাতেই তারা যা দেখলেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ফ্রিজ খুলতেই বেরল কুকুরের কাটা মুণ্ড। উদ্ধার হল প্যাকেট ভর্তি নষ্ট খাবার।

স্থানীয় বাসিন্দারাই পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছিল। তবে কারখানার ভিতরে যে এই কাণ্ড হচ্ছে, তা তারাও জানতেন না। মূলত অপরিচ্ছন্ন খাবার নিয়েই অভিযোগ করেছিলেন। নোংরা জল ও পচা সবজির ভিডিয়ো পোস্ট করেন তারা। ওই অভিযোগ পেয়েই পুরসভার মেডিক্যাল টিম একটি মোমো-স্প্রিং রোল ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায়।

সেই কারখানাতেই তল্লাশির সময় পচা, নিম্নমানের বিভিন্ন খাবার ও মাংস মেলে। ফ্রিজ খুলতেই আধিকারিকরা চমকে যান। দেখেন, ভিতরে রাখা রয়েছে পাগ প্রজাতির একটি কুকুরের মাথা! এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। যদিও কারখানার কর্মীদের দাবি, মোমো-তে ব্যবহার করা হত না ওই মাংস। কারখানার কর্মীরা কয়েকজন নেপালি। তারা কুকুরের মাংস খান।

জানা গিয়েছে, ওই কারখানা থেকে মোমো ও স্প্রিং রোল চণ্ডীগঢ়, পঞ্চকুলা ও কালকায় সরবরাহ করা হত। কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ জমা মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যবহৃত তেল ও ক্রাশার মেশিনও রয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাংস ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ল্যাবের রিপোর্টের পরই জানা যাবে, সত্যিই মোমোতে পুর হিসাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করা হত কি না।

Next Article