নয়া দিল্লি : কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তখন রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen)। দেশের বেকারত্ব থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখছিলেন। নিজের বক্তব্য চলাকালীনই এবার রাজ্যসভায় গান গাইলেন দোলা সেন, “জুলম কি আগ মে অউর কব তক, জিন্দেগানি সুলগতি রহেগি…”। দোলা সেনের সেই গানের সেই ভাষাতেও ছিল কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে এক প্রচ্ছন্ন বার্তা। বাংলা মানেই সংস্কৃতির কেন্দ্রভূমি। অনেকেই বলে থাকেন, গান, নাটক, সাহিত্যচর্চা এ সব নাকি বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এবার তা সংসদ ভবনেও বুঝিয়ে দিলেন দোলা সেন। উল্লেখ্য, সব ঠিক থাকলে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও সাংসদ দোলা সেনের এই সঙ্গীত প্রতিভার সাক্ষী থাকতে চলেছে রাজ্যসভা।
কিছুদিন পরেই রাজ্যসভাকে বিদায় জানাবেন ৭২ জন সাংসদ। বৃহস্পতিবার ওই সাংসদদের জন্য একটি বিদায়ি সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে এক নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই নৈশভোজের অনুষ্ঠানে সাংসদরা তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরের সত্ত্বাকে তুলে ধরবেন। অনেকেই নিজেদের ‘লুকিয়ে থাকা’ প্রতিভাও সেখানে উপস্থাপিত করবেন বলে খবর। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের নৈশভোজে অন্তত ছয় জন সাংসদ নিজেদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা মেলে ধরবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন শান্তনু সেন, দোলা সেনরা। সূত্রের খবর, শান্তনু সেন গিটার বাজাবেন, দোলা সেন রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় আবার কোনও এক হিন্দি গান গাইবেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন সাংসদ বন্দনা চ্যাবন। এর পাশাপাশি, সাংসদ তিরুচি শিবা একটি তামিল গান গাইবেন এবং সাংসদ রামচন্দ্র ঝাংরা গাইবেন একটি দেশাত্মবোধক গান। সবার একক উপস্থাপনা শেষে একটি সমবেত সঙ্গীতও হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হওয়া সাংসদদের বিদায়ি ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁর নিজ বাসভবনে একটি নৈশভোজেরও আয়োজন করেছেন। জানা গিয়েছে, সেখানে নৈশভোজের পাশাপাশি এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন সাংসদরা। জুলাই মাস পর্যন্ত ওই সাংসদদের মেয়াদ থাকছে। তারপরেই অবসরে যাচ্ছেন ৭২ জন রাজ্যসভার সাংসদ। রাজ্যসভার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের মতে, প্রায় ২০ বছর পর এই ধরনের অনুষ্ঠানে সাংসদরা তাঁদের সাংস্কৃতিক প্রতিভাকে ব্যক্ত করছেন।
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar: সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা, তিনটি বিলে সম্মতি রাজ্যপালের