মুম্বই: বিয়ে হয়ে গিয়েছে ননদের। মাঝে মধ্যে বাপের বাড়িতে যান ঠিকই, তবে তাঁকে ওই বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা বলা যাবে না। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ আদালতের। এই যুক্তিতেই বিবাহিত ননদ অব্যাহতি পেলেন মামলা থেকে। বম্বে হাইকোর্টে হওয়া ওই মামলায় ননদের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। বিচারপতি শর্মিলা ইউ দেশমুখের বেঞ্চে চলছিল সেই মামলা।
২০২২ সালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন এক মহিলা। গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন তিনি। অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে। শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। ননদ দাবি করেন, তিনি যেহেতু শ্বশুরবাড়িতে থাকেন, তাই তাঁর নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হোক। তিনি জানান, তাঁর দাদার আগেই তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
এরপর মামলা গড়ায় বম্বে হাইকোর্টে। মামলাকারী অর্থাৎ অভিযোগকারীর ননদ জানান, দাদার বিয়ে হওয়ার পাঁচ মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। তারপর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন তিনি। বিচারপতি উল্লেখ করেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন না তাই ননদের নাম মামলায় রাখা যাবে না।
অভিযোগকারী মহিলা দাবি করেন, তাঁর ননদ প্রতিদিন বিকেলে তাঁর বাড়িতে যান, রাত আটটা পর্যন্ত সেখানেই থাকেন। তাই তাঁকে ওই বাড়ির অন্যতম বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করার দাবি জানান তিনি। বিচারপতি সব শুনে মহিলার আর্জি খারিজ করে দেন। বিচারপতি দেশমুখ বলেন, মাঝে মাঝে গেলে কাউকে বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে ধরা যায় না। বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করার যথেষ্ট যুক্তি নেই এ ক্ষেত্রে।
বম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় ননদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। তাই ননদ-কে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।