নয়াদিল্লি: গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই শিয়ের বাহিনীকে রুখতে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশের একাধিক সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। মূলত, এই সব এলাকায় সর্বক্ষণ শীতপ্রবাহের জেরেই টহলদারিদের বারংবার সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় বলেই দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
এবার সেই ঠান্ডার সমস্যাকেই একেবারে নির্মূল করে দিতে চলেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। টহলদারি, এমনকি সংঘর্ষের সময়ও শীতপ্রবাহ ও বরফ যাতে বাধা না হয় তার ব্যবস্থা করে ফেলল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি, হিমালয়ের কোলে টহল দেওয়া সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ পোশাক তৈরি করে ফেলেছে ডিআরডিও। ইতিমধ্য়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রথম ট্রায়াল। খুব শীঘ্রই এই পোশাক হাতে পেতে চলেছে সিয়াচেন, লাদাখ সীমান্তের জওয়ানরা।
আগের থেকে কতটা উন্নত হয়েছে শীতপ্রবাহ রক্ষাকারী পোশাক?
আগেও শীতের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এক ধরণের বিশেষ পোশাক ব্যবহার করতেন গালওয়ান ও সিয়াচেনে টহল দেওয়া জওয়ানরা। কিন্তু, ডিআরডিও-র তৈরি এই নতুন পোশাককে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে কোনও ভাবে টেক্কা দিতে পারবে না আগের পোশাকটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআরডিও-র তৈরি এই ‘হিমকবচ’ মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও রক্ষা করবে সেনা-জওয়ানদের।
এই পোশাকে রয়েছে কাপড়ের একাধিক স্তর। যার কারণে রুখে দেওয়া যাবে শীতকে। আবার মাল্টি লেয়ার কাপড়ের ব্যবহারে যে পোশাকটি অত্যন্ত ভারী হয়ে যাবে এমনটাও নয়। সেনা-জওয়ানদের শারীরিক স্ফূর্তি কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে ‘হিমকবচ’। এটি পরে কোনও ভাবে অস্বস্তি বোধ করবেন না জওয়ানরা। শুধু তা-ই নয়, বরফের মধ্য়ে একেবারে মিশে গিয়ে শত্রুসেনাকে টার্গেট করতেও সাহায্য় করবে ডিআরডিও-র এই নতুন প্রযুক্তি।
উল্লেখ্য, বরফে ঢাকা থাকার কারণে চিনের লাল ফৌজের কাছে গালওয়ান কিংবা সিয়াচেন ‘সফ্ট টার্গেট’। ফলত, এই এলাকাগুলিকে বরাবর সেনা দিয়ে মজবুত করতেও বাড়তি উদ্দ্যোগ দেখিয়েছে ভারত। আগের চেয়েও টহলদারি বেড়েছে লাদাখ ও অরুণাচল চত্বরে।