রেঞ্জের মধ্যে গোটা Pakistan, DRDO-র নতুন Anti-Ship Missile এবার আসতে চলেছে Indian Army-র হাতে!
Anti-Ship Missile, Pakistan: এই মিসাইলের আরও একটি গুণ রয়েছে যা একে আরও মারাত্মক বানায়। সেটা হল এর উচ্চ গতির ম্যানুভারিং ও এর আনপ্রেডিকটেবল ফ্লাইট পাথ। অর্থাৎ, এর গতিপথকে আগে থেকে প্রেডিক্ট করা একেবারেই অসম্ভব।

প্রতিরক্ষা গবেষণার আরও এক সাফল্য ভারতের ডিআরডিও অর্থাৎ ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের। ম্যাক ১২ গতির হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল ভিত্তিক লং রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ট্রায়ালে দারুণ পার্ফরম্যান্স করেছে বলে খবর। ডিআরডিও-র অ্যাডভান্স সিস্টেম ল্যাবেরোটরির ডিরেক্টর ডঃ অনিল কুমার এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বর্তমানে পরবর্তী উৎপাদনের ধাপে প্রবেশ করেছে।
এটি একটি গ্লাইড ভেহিকল ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ, কোনও ভেহিকলের উপর থেকেই শুধুমাত্র ছোঁড়া যায় এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর গতি ম্যাক ১২ বা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। আর এর রেঞ্জ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার। অর্থাৎ, প্রায় পুরো পাকিস্তানই এর অধীনে চলে আসে। যদিও এটি একটি অ্যান্টি শিপ মিসাইল।
এই মিসাইলের আরও একটি গুণ রয়েছে যা একে আরও মারাত্মক বানায়। সেটা হল এর উচ্চ গতির ম্যানুভারিং ও এর আনপ্রেডিকটেবল ফ্লাইট পাথ। অর্থাৎ, এর গতিপথকে আগে থেকে প্রেডিক্ট করা একেবারেই অসম্ভব। এ ছাড়াও শত্রুর রাডার ও এয়ার ডিফেন্সকে চূড়ান্ত ভাবে বিভ্রান্ত করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারত উৎপাদন শুরু করেছে, অর্থাৎ পৃথিবীর কয়েকটি দেশের মধ্যে এখন এসে গিয়েছে আমাদের দেশ। কারণ, আমেরিকা, রাশিয়া বা চিন ছাড়া আর কারও কাছে অপারেশনাল হাইপারসনিক গাইডেড ভেহিকল নেই। আর নতুন এই অস্ত্র ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে দিগন্ত রেখার চেয়েও দূরে আঘাত করার ক্ষমরা এনে দিচ্ছে। যা আগামীতে নৌযুদ্ধে গেমচেঞ্জার হতে পারে।
