নয়া দিল্লি: নতুন রাষ্ট্রপতি পেল ভারত। দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন এনডিএ মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। ভোট মূল্যের হিসাবে বিরোধী দলের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন দ্রৌপদী। মুর্মুর এই ব্যাপক সাফল্যের পাশাপাশি একাধিক নতুন রেকর্ডও গড়েছেন তিনি।
দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তার আগে প্রতিভা সিং পাটিল প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়ে শুধুমাত্র দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতিই নয়, একাধিক রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এগুলি হল-
দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। এর আগে দেশ দুইজন দলিত রাষ্ট্রপতি পেয়েছিলেন- কেআর নারায়ণ ও রামনাথ কোবিন্দ। কিন্তু আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তিকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের পদে দেখা যায়নি। এখনও অবধি দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নয়। এবার সেই ইতিহাস বদলে দিলেন দ্রৌপদী।
দেশের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতিও দ্রৌপদী মুর্মুই। ১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র ৬৪ বছর বয়সেই তিনি রাষ্ট্রপতি হলেন। আগামী ২৫ জুলাই শপথগ্রহণ করবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সময় তাঁর বয়স হবে ৬৪ বছর ১ মাস ৮ দিন।
দ্রৌপদী মুর্মুই ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন, যিনি দেশ স্বাধীনতা পাওয়ার পর জন্মগ্রহণ করেছেন। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৪৫ সালে। তার আগে যতজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সকলেই ১৯৩০-র দশকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বড় কোনও রাজনৈতিক পদ নয়, কাউন্সিলর পদ থেকেই শুরু হয়েছিল দ্রৌপদী মুর্মুর রাজনৈতিক যাত্রা। তিনিই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি পূর্বে কাউন্সিলর ছিলেন।
দেশের অধিকাংশ রাষ্ট্রপতিই দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। তবে দেশকে রাষ্ট্রপতি উপহার দেওয়ার তালিকায় বাংলা-বিহারের নাম থাকলেও, এতদিন প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার নাম ছিল না। সেই রেকর্ডকেই ভেঙে দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা।