আহমেদাবাদ: বিদেশি নাগরিক, তাদের ব্যাগ ভর্তি ভারতীয় বিভিন্ন মশলা। ভারতে এসে নাকি মশলায় এত স্বাদ লেগেছে যে ব্যাগ ভর্তি করে হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো, গরম মশলা নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনজন মানুষের ব্যাগে এত মশলার প্যাকেট! খটকা লেগেছিল সেখান থেকেই। বাক্স খুলতেই কেল্লাফতে! ভিতরে যা বেরল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ, এনসিবির। কী ছিল তাতে?
আন্তর্জাতিক মাদক সিন্ডিকেটের খোঁজ পেল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। মশলার প্যাকেট থেকে ২ কেজি কেটামাইন উদ্ধার হল। গ্রেফতার চারজন। এদের মধ্যে তিনজন নাইজেরিয়ান নাগরিক। জানা গিয়েছে, মশলার প্যাকেটে ভরে মাদক পাচার করা হচ্ছিল। এনসিবি ধৃতদের কাছ থেকে ২ কেজি কেটামাইন উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেটামাইন একধরনের অ্যানেসথেটিক এজেন্ট, যা ব্যবহার করে শরীর অবশ করা হয়। এই কেটামাইন দিয়ে নেশাও করা হয়, যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জানা গিয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর আহমেদাবাদের এনসিবির কাছে খবর এসেছিল যে বিভিন্ন মশলার প্যাকেটে ভরে কুরিয়ারের মাধ্যমে ২ কেজি কেটামাইন আমেরিকায় পাঠানো হচ্ছে। এরপরই তদন্তে নেমে আদনান ফার্নিচারওয়ালা নামক এক যুবকের খোঁজ পায় এনসিবি ও পুলিশ। গত ৮ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আদনানকে জেরা করে জানা যায়, নাইজেরিয়ার একটি ড্রাগ সিন্ডিকেট, যা দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়, তারা এই মাদক কেটামাইন সরবরাহ করত। আদনান সেই মাদক গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে পাচার করত। সূত্র ধরেই এনসিবি গত ১৮ ডিসেম্বর দিল্লির মেহেরুলি থেকে তিনজন নাইজেরিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করে।