চেন্নাই: ভারী ব্যাগ, এদিকে ভিতরে যাবতীয় অপ্রয়োজনীয় জিনিস ভরা। বিমানবন্দরের স্ক্য়ানারে ওই ব্যাগ চোখে পড়তেই সন্দেহ হয়েছিল শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের। ব্যাগ খুলে ভাল করে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের। আজেবাজে জিনিসপত্রের মাঝখানেই লুকানো ছিল ৯.৫৯০ কেজির মাদক। জানা গিয়েছে, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের এক যাত্রীর কাছেই এই বিপুল পরিমাণ মাদক লুকানো ছিল, যার বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকা। হেরোইন ও কোকেনে পরিপূর্ণ ওই ব্যাগটি ইতিমধ্যেই আটক করেছে চেন্নাই এয়ার কাস্টমস।
শুক্রবারই চেন্নাই বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, আদ্দিস আবাবা থেকে আগত এক যাত্রীর কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ব্যক্তি ভারতীয়ই। তাঁর ব্যাগ ও জুতো থেকে সাড়ে ৯ কেজিরও বেশি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকা। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবট্যান্স আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা বিভাগের কাছে আগেই খবর এসেছিল, বিদেশ থেকে চেন্নাই বিমানবন্দর মারফত বিপুল পরিমাণ মাদক ভারতে আনা হচ্ছে। এয়ার ইন্টেনিজেন্স ইউনিটের অফিসার অনিল কুমার এই তথ্য নিশ্চিত করতেই আগে থেকে প্রস্তুত ছিল চেন্নাই বিমানবন্দরের কাস্টমস ও এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের আধিকারিকরা। আগত প্রত্যেক যাত্রীর ব্যাগই পরীক্ষা করা হচ্ছিল। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান আসতেই ইকবাল বি উরানদাদি নামক ওই যাত্রীর ব্যাগটি পাওয়া যায়। জিনিসপত্রের তুলনায় ব্যাগের ওজন বেশি থাকায় সন্দেহ হয় গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের, ব্যাগ খুলে দেখা যায়, থরে থরে সাজানো মাদকের প্যাকেট। শুধুমাত্র ব্যাগ থেকেই নয়, ওই ব্যক্তির জুতোর ভিতর থেকেও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ইথিওপিয়া বা আশেপাশের কোনও দেশ থেকেই বিপুল পরিমাণে কোকেন ও হেরোইন নিয়ে আসছিলেন ধৃত ব্যক্তি। প্রায় ১০০ কোটি টাকার এই মাদক যুব প্রজন্মের হাতে পৌঁছে গেলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারত বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।