হায়দরাবাদ: রোজদিনের দায়িত্ব থাকে দুপুরে স্কুলপড়ুয়াদের অটোয় করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া। এদিকে অটো চালানোর ফাঁকেই ভরদুপুরে মদ খেয়ে নিয়েছিলেন অটোচালক। ভেবেছিলেন, অটোয় তো শুধু বাচ্চারা থাকবে, কেউ কিছু বুঝতে পারবে না। কিন্তু পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল থেকে বেরতেই ঘটল বিপদ। কিছু দূর এগোতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল অটো, পড়ুয়াদের নিয়েই উল্টে গেল অটো। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা। অটোচালককে মত্ত অবস্থায় দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। কয়েকজন চালককে মারতে গেলে, ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল ওই অটোচালক। ক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খাওয়া থেকে বাঁচতে সামনেই থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটি বেয়ে উঠে পড়ল ওই চালক। মত্ত চালককে খুঁটি থেকে নামাতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের। ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার ওয়ারগাল মন্ডলে। দুর্ঘটনায় দুইজন পড়ুয়া গুরুতর আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলঙ্গানার ওয়ারাগাল মন্ডলের মাইলারাম গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত অটোচালক মত্ত অবস্থায় অটো চালাচ্ছিল। স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে ফেরার সময় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ওই অটোচালক। টাল সামলানোর চেষ্টা করলেও, যাত্রীসহ উল্টে যায় অটোটি। চালক খুব বেশি আহত না হলেও, অটোর সওয়ারি চার পড়ুয়ার মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু অটোচালক মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল, এ কথা জানতে পেরেই তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চালককে ধরতে গেলেই সে একটি বিদ্যুতের খুঁটির উপরে চড়ে বসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতেও নামতে নারাজ হয় ওই অটোচালক।
বাধ্য হয়েই পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশও এসে ওই অটোচালককে খুঁটি থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় অবশেষে নামতে রাজি হয় ওই চালক। পরে পুলিশ ওই চালককে গ্রেফতার করে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই অটোচালক জানান, দুর্ঘটনার পর তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে মারধর করবে। সেই ভয়েই তিনি বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নরসিমাহু নামক ওই অটোচালক দুপুরেই মদ্যপান করেছিলেন। তারপরে ওই স্কুলপড়ুয়াদের আনতে যান। কিন্তু মাঝপথেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে মারধর করবে, এই ভয়ে তিনি বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন। ভাগ্যক্রমে সেই সময় খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।