নয়া দিল্লি: ফের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে মদ্যপ যাত্রীর প্রস্রাবের ঘটনা। গত ৬ ডিসেম্বর প্যারিস থেকে দিল্লিগামী এক বিমানে এক মহিলা যাত্রীর কম্বলে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন এক পুরুষ যাত্রী, এমনই অভিযোগ। পিটিআই-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি শুধুমাত্র লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এর আগে জানা গিয়েছিল, গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানেও প্রায় একই ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছিল। এক মদ্যপ পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে এক মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। ওই যাত্রীকে ৩০ দিনের জন্য নো ফ্লাই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব করেছে ডিজিসিএ।
সূত্রের খবর, ৬ ডিসেম্বরের ঘটনাটি ঘটেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৪২-তে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসার পর, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে ওই পুরুষ যাত্রীর অভব্য আচরণ সম্পর্কে রিপোর্ট করেছিলেন। তিনি কোন ক্লাসে ভ্রমণ করছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করেছিল। এয়ারপোর্টের নিরাপত্তারক্ষীদের জানানো হয়, ওই যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় বিমানে উঠেছিলেন। শুরু থেকেই তিনি কেবিন ক্রুদের নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি। পরে তিনি এক মহিলা সহযাত্রীর কম্বলে প্রস্রাব করেন।
প্রাথমিকভাবে ওই মহিলা এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযুক্ত পুরুষ যাত্রী বিমান থেকে নামতেই তাঁকে আটক করে সিআইএসএফ-এর এক জওয়ান। পরে অবশ্য ওই দুই যাত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া হয়। পুরুষ যাত্রীটি লিখিতভাবে ক্ষমা চান। তারপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মহিলাও পুলিশে অভিযোগ জানাতে রাজি হননি। তাই ওই পুরুষ যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবারই ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন বা ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা, পাইলট এবং ২৬ নভেম্বরের নিউইয়র্ক-দিল্লি ফ্লাইটের কেবিন ক্রুদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে, জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান। এর জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, প্রশ্ন করা হয়েছে। জবাব দাখিলের জন্য তাদের দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। সেই জবাবের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।