লেহ: বর্ষশেষে ফের আতঙ্ক। আবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরের মাটি। এবার ঘণ্টা তিনেকের ব্যবধানে কেঁপে উঠল হিমালয় অধ্যুষিত উত্তরের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু-কাশ্মীর এবং লেহ ও লাদাখ। মাঝারি মানের ভূমিকম্প হয়েছে কাশ্মীর ও লাদাখে। যদিও শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) সূত্রে খবর, এদিন ভোর ৪টে ৩৩ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে লেহ ও লাদাখ। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৫ এবং ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ৫ কিলোমিটার গভীরে।
লেহ ও লাদাখের আগে সোমবার গভীর রাতে কেঁপে উঠেছিল জম্মু ও কাশ্মীর। সোমবার রাত ১টা ১০মিনিট নাগাদ কাশ্মীরের কিস্তোয়ার জেলায় কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৭ এবং উৎসস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ৫ কিলোমিটার গভীরে। পরপর দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভূমিকম্পে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্ষশেষে সাদা বরফে ঢেকে গিয়েছে সিমলা, কুলু থেকে কাশ্মীর, লাদাখ। শীত উপভোগ করতে এবং সাদা বরফের মোড়া সিমলা, কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। হিমাচল প্রদেশে পর্যটকদের এত ভিড় যে অটল টানেলে পর্যন্ত যানজট শুরু হয়েছে। বরফে আবৃত কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে সেখানেও পর্যটকদের ভিড় নেমেছে। এর মধ্যে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জম্মু-কাশ্মীর ও লেহ-লাদাখে ভূমিকম্পের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই পর্যটক থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়েছে। কেননা মাস কয়েক আগেই সিমলা, উত্তরাখণ্ডে ভূমিধস-সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা এখনও কেউ ভোলেনি। অতিরিক্ত জনসমাগম এবং অপরিকল্পিতভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হোটেল এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অন্যকম কারণ ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবেই হিমাচল, কাশ্মীরে পরপর ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে।