Election Commission: ছবি লাগিয়ে, সই করে দিলেই হল! তদন্ত চালিয়ে বিহারে ভোটার-সমীক্ষা করবে কমিশন
Election Commission On Bihar: এই নিয়ে ভোটার তালিকা সমীক্ষা প্রসঙ্গে মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, প্রথমটিতে যেখানে পারদ একেবারে তুঙ্গে ছিল, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিজ্ঞপ্তি থেকে সেই সুর নামতে শুরু করেছে।

পটনা: চাপের মুখেই কি সুর বদলাচ্ছে নির্বাচন কমিশন? ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে দেশজুড়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। এদিন আবার কমিশনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়ে রিট পিটিশন জমা দিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
কমিশন নিয়ে সেই তাপ-উত্তাপের মাঝে বিহারের মানুষদের ‘আশা’ দেখাচ্ছে তাদের নতুন বিজ্ঞপ্তি। এই নিয়ে ভোটার তালিকা সমীক্ষা প্রসঙ্গে মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, প্রথমটিতে যেখানে পারদ একেবারে তুঙ্গে ছিল, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিজ্ঞপ্তি থেকে সেই সুর নামতে শুরু করেছে।
রবিবার বিহারের একাধিক সংবাদপত্র বিজ্ঞাপন রূপে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘যারা ভোটার তালিকার ভিত্তি নিজেদের পর্যাপ্ত নথি প্রদান করবে, তাদের ক্ষেত্রে আবেদনের কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে। কিন্তু যদি কেউ সেই প্রয়োজনীয় নথি দিতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে ইআরও বা নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির যথার্থ নথি তদন্তের মাধ্যমে উদ্ধার করবে।’
ভোটার সমীক্ষা নিয়ে বিহারের মানুষের মনে তৈরি ‘আতঙ্ক’ কাটাতে সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘আপনারা আপনাদের ফর্মগুলি ভরে নথি ও ছবি-সহ দ্রুত বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের কাছে জমা দিন।’ এরপর ঠিক তার পরের লাইনেই লেখা রয়েছে, ‘যাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি নেই, তারা শুধুমাত্র ফর্ম ভরে সই করে তা জমা দিয়ে দিন।’
আগামী ২৬ জুলাই এই ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। তার আগেই তৎপরতা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন এক আধিকারিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু-কে জানিয়েছে, ‘ভোটারদের কাগজপত্র জমা দিতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে, তাই সেই কথাটা মাথায় রেখেই কমিশন নির্দেশিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে।’





