নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর), এক তহবিল তছরুপের মামলায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের নামে চার্জশিট দাখিল করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। কোভিড-১৯ মহামারির ত্রাণ দান-সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের জন্য জনগণের থেকে এই তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন রানা আয়ুব। সব মিলিয়ে ২.৬৯ কোটি টাকা সংগৃহীত হয়েছিল। তবে, এই অর্থের বেশিরভাগই তিনি নিজের ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করেছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে ইডি। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এই মামলার তদন্তের স্বার্থে রানা আয়ুবের সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়েছিল।
ইডির দাবি, তহবিল সংগ্রহের জন্য ২০২০ সালের এপ্রিলে ক্রাউডফান্ডিং ওয়েবসাইট ‘কেটো’র সহায়তা নিয়েছিলেন রানা আয়ুব। কেটো-তে তিনি তিনটি তহবিল সংগ্রহের প্রচার শুরু করেছিলেন। ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট বা এফসিআরএ-তে নাম নিবন্ধন না করেই তিনি বিদেশী অবদান গ্রহণ করেছিলেন। ইডি আরও দাবি করেছে, এই সকল আর্থিক অবদান রানা আয়ুবের বাবা ও বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘুরে গিয়ে জমা হল তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলিতে। ইডি জানিয়েছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি একটি ফিক্সড ডিপোজ়িট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএমকেয়ার্স তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই, ইডির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা আয়ুব। এই মামলার বিষয়ে তিনি বলছেন, “আমার দ্বারা বা অন্য ২টি মনোনীত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও বিদেশী অনুদান ছিল না। কারণ সমস্ত অনুদান প্রথমে কেটোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সংগৃহীত হয়েছে। আমি কেট্টো সংস্থাকে বলেছিলাম ত্রাণ অভিযানের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রাপ্ত অবদানগুলিই গ্রহণ করার জন্য। বিদেশী মুদ্রায় প্রাপ্ত যে কোনও অর্থ, দাতাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছিল। ত্রাণ অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছ শুধুমাত্র দেশীয় অনুদানই।”