মুম্বই: আর্থিক তছরুপ মামলায় আরও জড়িয়ে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। একদিকে তাঁর জামিনের আর্জি যেমন খারিজ হয়ে যাচ্ছে. তেমনই আবার বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে জানানো হল, আর্থিক তছরুপ মামলার প্রধান চক্রী অনিল দেশমুখই। কোথা থেকে তাঁর কাছে বিপুল সম্পত্তি এল, সেই হিসাবও দিতে পারছেন না তিনি।
প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। ওই আর্জির প্রত্যুত্তরে ইডির অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর তাসিন সুলতান জানান, ক্ষমতায় থাকাকালীন অনিল দেশমুখ বিপুল সম্পত্তির মালিক হন, যার উৎস এখনও অজানা। দেশমুখের দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনিল দেশমুখ অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি, যার রাজনৈতিক শিকড় অনেক গভীরে। উনি তদন্ত ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, এর সম্ভাবনা প্রবল।”
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, যদি অনিল দেশমুখকে জামিন দেওয়া হয়, তবে তিনি তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন, এমনকি প্রমাণ নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে পারেন। এখনও অবধি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়নি, যারা ক্রমাগত তদন্তকারী সংস্থার হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। সেই কারণে ওনাকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
আর্থিক তছরুপ মামলায় বিশেষ আদালতের তরফে অনিল দেশমুখের জামিন বাতিল করার পরই প্রাক্তন মন্ত্রী হাইকোর্টে আবেদন জানান। আর্জিতে অনিল দেশমুখ দাবি করেছেন, তিনি নিপীড়নের শিকার। তাঁকে ক্রমাগত হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের জন্য।
ইডির তরফে বলা হয়েছে, “ইডির হেফাজতে থাকাকালীন অনিল দেশমুখ জানাতে পারেননি তাঁর বিপুল সম্পত্তি কোথা থেকে এসেছে এবং জৈন ব্রাদার্স কোম্পানির কাছ থেকে শ্রী সাই শিক্ষা সংস্থার অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে যে ১.৭১ কোটি টাকা এসেছিল, তা কোথা থেকে তিনি পেয়েছিলেন, তাও জানাতে পারেননি।”