নাগপুর: মহারাষ্ট্র সরকারে দীর্ঘদিন ধরে চলা মহানাটকের ইতিমধ্যে সমাপ্তি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওযার পর গতকালই বিধানসভায় হওয়া আস্থা ভোটে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন একনাথ শিন্ডে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিজেপি নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার বিজেপির সিদ্ধান্ত তাবড় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অবাক করেছিল। মনে করা হচ্ছিল এই সিদ্ধান্তে ‘না খুশ’ আরএসএস ঘনিষ্ঠ এই নেতা। কেন দেবেন্দ্রর পরিবর্তে একনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করা হল, এই প্রশ্ন যখন রাজনীাতির অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে, তখনই এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। মঙ্গলবার ফড়ণবীসের বক্তব্য শুনে অনেকই অবাক হয়ে গিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর সুপারিশ মেনে নিয়েই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে রাজি হয়েছে।
এদিন সাংবাদিকদের যাবতীয় জল্পনা সত্যতা স্বীকার করে মহারাষ্ট্র বিজেপির সর্বোচ্চ নেতা জানিয়েছেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার পর এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার হস্তক্ষেপে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথম থেকেই চাইছিলেন মহারাষ্ট্র সরকার অংশ হিসেবে কাজ করুন ফড়ণবীস।G
নাগপুরের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ফড়ণবীস। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারে এসেছিল কিন্তু মানুষের রায় ‘চুরি’ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর দল এবং বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা ‘আদর্শগত’ কারণে জন্য এক ছাতার তলায় এসেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য না। ফড়ণবীস এদিন বলেন, “আমাদের নেতা মোদীজি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা আমার প্রস্তাব মেনে শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। আমি উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি ছিলাম না, কিন্তু আমি আমার নেতাদের নির্দেশ মেনে চলার জন্যই মত পরিবর্তন করেছি।” উল্লেখ্য, প্রায় ১০ দিনের টানাপোড়েনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার পর ৩০ জুন শপথ নেনএকনাথ শিন্ডে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।