মুম্বই : জন্মাষ্টমীর উৎসবেও লাগল রাজনীতির রঙ। মহারাষ্ট্রে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে দইয়ের হাঁড়ি ভাঙা হয়ে থাকে। অনেক উঁচুতে ঝোলানো হাঁড়ি ভাঙতে ‘হিউম্যান পিরামিড’ তৈরি করা হয়। সেই রীতির উপমা টেনেই রাজনৈতিক গুগলি ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। শুক্রবার জন্মাষ্টমী তিথি উপলক্ষ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এবং আমার সমর্থকরা কয়েকদিন আগেই অনেক শক্ত একটা দইয়ের হাঁড়ি ভেঙেছি।’ তিনি শিবসেনায় উদ্ধব ঠাকরের আধিপত্য ভেঙে বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার বিষয়ে এই উপমা টানেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। মহা বিকাশ অগাড়ি সরকারের থেকে ৫০ জন বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগ দেন। এহেন একনাথ আজ থানে জেলার তেমভি নাকায় দই হাঁড়ি ভাঙার প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছিলেন। সেখানেই একনাথ নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ উদ্ধব ঠাকরেকে খোঁচা মারেন। একনাথ বলেন, ‘আপনি এখন এই দহি হান্ডি (দইয়ের হাঁড়ি) ভাঙছেন। আমরা দেড় মাস আগে খুব শক্ত একটা দহি হান্ডি ভেঙে দিয়েছিলাম। এটা খুবই কঠিন কাজ ছিল। আমাদের ৫০টি শক্তিশালী স্তর স্থাপন করতে হয়েছিল কিন্তু আমরা সফল হয়েছিলাম।’
একনাথ শিন্ডে এদিন বলেন, ‘শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরে সবসময় চাইতেন যে একজন শিবসেনা কর্মী মুখ্যমন্ত্রী হন। প্রয়াত আনন্দ দিঘে চাইতেন যে থানে জেলার কেউ এই পদে বসুক। সেই আশা পূর্ণ হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশকে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক আঙিনায় পরিচিত মুখ ছিলেন আনন্দ দিঘে। তিনি একনাথ শিন্ডের গুরুও ছিলেন। এদিকে বাংলায় যেমন দুর্গাপুজোর উদ্বোধন বা আয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, তেমন ভাবেই জন্মাষ্টমীর সময় মহারাষ্ট্রের মুম্বই এবং থানে জেলাতে দই হাঁড়ি ভাঙার এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে রাজনৈতিক রঙ লেগে থাকে। এই আবহে শিবসেনার দুই শিবিরই নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে এবার। দুই শিবিরের মধ্যেই যেন এক প্রতিযোগিতা চলে এবারে। সেই প্রতিযোগিতায় কে জিতল, জানার উপায় নেই। তবে আপাত দৃষ্টিতে রাজনীতির খেলায় ‘অ্যাডভান্টেজ’ শিন্ডের।