মুম্বই: কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে মহারাষ্ট্রের মদনদে বসেছেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা ছিলই, সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে মহারাষ্ট্রের গদির পর দল নিয়ে শিন্ডে ও উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবিরের মধ্যে দড়ি টানাটানি অনিবার্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শিবসেনার রাশ নিজের হাতে রাখতে চেয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, সিংহভাগ শিবসেনা নেতা একত্রিত হয়ে উদ্ধব ঠাকরে নিযুক্ত কমিটি ভেঙে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেছে। একনাথ শিন্ডের ডাকে সোমবার একদল শিবসেনা সাংসদ একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতার একনাথ শিন্ডেকে জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির ‘প্রধান নেতা’ হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯ জন মধ্যে ১২ জন শিবসেনা সাংসদ একনাথ শিবিরে চলে এসে লোকসভায় রাহুল সেওয়ালে নিজেদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
উদ্ধবের সঙ্গে বিরোধ প্রকাশ্যে আসার সময় থেকেই নিজেদেরকে বালাসাহেব ঠাকরের মতাদর্শে চলা ‘আসল শিবসেনা’ বলে দাবি করেছিল শিন্ডে শিবির। ইতিমধ্যে দল হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা থেকে উদ্ধব শিবির নির্বাচন কমিশনে ক্যাভিয়েট দাখিল করে জানিয়েছে, দল নিয়ে যদি কোনও আবেদন জমা পড়ে, তবে তাদের বক্তব্য যেন শোনা হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে উদ্ধব শিবির আবেদন করেছে, বক্তব্য না শুনে কমিশন যেন কোনও সিদ্ধান্ত অথবা নির্দেশ না দেয়।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদ নির্বাচনে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ক্রস ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু বিধায়কের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে ৫৫ জন শিবসেনা বিধায়কের সিংহভাগ উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। ২৯ জুন উদ্ধব পদত্যাগ করতেই বিজেপির সমর্থন নিয়ে ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। দলে রাশ নিয়ে উদ্ধব ও শিন্ডে শিবিরের মধ্যে টানাপোড়েন কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার।