ছেলে মারা গিয়েছে, জানেনই না! ৪ দিন দেহ আঁকড়ে বৃদ্ধ মা-বাবা
Dead Body: সোমবার পুলিশের কাছে ব্লাইন্ড কলোনি থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, একটি বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ আসছে। সেই খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ। বহুবার কড়া নাড়ার পর দরজা খুলতেই নাকে আসে পচা গন্ধ। দেখা যায়, ঘরের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
হায়দরাবাদ: বয়স হয়েছে। ৩০ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বৃদ্ধ মা-বাবা। সব ঠিকই চলছিল, তবে কয়েকদিন ধরে চুপ ছেলে। ঘুমাচ্ছে অকাতরে। কোনও কিছুই টের পাননি মা-বাবা। চারদিন বাদে পুলিশ এসে জানাল, মৃত্যু হয়েছে ছেলের। তাঁরা ছেলের মৃতদেহ আঁকড়ে রয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে।
প্রতিবেশীরাই পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। নাহলে ওই বৃদ্ধ দম্পতি জানতেও পারতেন না যে তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। কারণ তাঁরা দুজনেই দৃষ্টিহীন। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী কালুভা রমন। তাঁর স্ত্রী শান্তি কুমারীও তাঁর মতোই দৃষ্টিহীন। তাঁদের দুই ছেলে। ছোট ছেলে প্রমোদ (৩০) তাঁদের সঙ্গে থাকতেন বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক নিয়মিত মদ্যপান করতেন।
সোমবার পুলিশের কাছে ব্লাইন্ড কলোনি থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, একটি বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ আসছে। সেই খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ। বহুবার কড়া নাড়ার পর দরজা খুলতেই নাকে আসে পচা গন্ধ। দেখা যায়, ঘরের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধ দম্পতি সজ্ঞানে ছিলেন না। তাঁরা বিগত চারদিন ধরে ছেলেকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলেও, বুঝতে পারেননি যে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে মৃতদেহের সঙ্গেই থাকছিলেন তারা। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে এবং খাবার-জল দেয়।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ৪-৫ দিন আগে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে প্রমোদের। মৃত্য়ুর কারণ জানতে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।