SIR in Bengal: SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা? ভোটারদের মনের ‘অন্ধকার’ দূর করতে তৎপর কমিশন
Election Commission Launch Helpline: উত্তর ২৪ পরগনার জেলার আগরপাড়ায় একটি বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ। দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। পুলিশের দাবি, যাতে লেখা রয়েছে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী NRC। আর এই ঘটনা ঘিরে চড়েছে রাজনীতি। NRC ও SIR-কে এক রেখায় টেনে এনেছে রাজ্যের শাসকশিবির।

নয়াদিল্লি: ভোটারদের মন থেকে এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া ‘অন্ধকার’ দূর করতে তৎপর কমিশন। শুরু হল SIR-হেল্পলাইন। নাগরিকদের সমস্ত রকম ভাবে সচেতন করতে, তাঁদের মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নের উত্তর দিতে, সর্বোপরি উদ্বেগ কাটাতে বিশেষ উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের।
সোমবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে দেশের মোট ১২টি রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এই ১২টি রাজ্যের মধ্যে সামিল বাংলাও। এখনও বাড়ি বাড়ি ফর্ম নিয়ে পৌঁছে যাননি বিএলও-রা। আগামী ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রশিক্ষণ। তারপর ৪ঠা নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে এসআইআর-এর কাজ। ঘরে ঘরে যাবেন বিএলও-রা।
ভোটার তালিকার এই নিবিড় পরিমার্জন ঘিরে বাংলার আকাশে জড়ো হয়েছে ‘কালো মেঘ’। এসআইআর-আতঙ্কে কেউ আত্মহত্য়া করেছেন, কেউ বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, এমনটাই দাবি একাংশের। এই সংশ্লিষ্ট ঘটনাক্রমের সবচেয়ে চর্চিত প্রসঙ্গ প্রদীপ করের মৃত্যু। উত্তর ২৪ পরগনার জেলার আগরপাড়ায় নিজের বাড়িতেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। পুলিশের দাবি, যাতে লেখা রয়েছে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী NRC। আর এই ঘটনা ঘিরে চড়েছে রাজনীতি। NRC ও SIR-কে এক রেখায় টেনে এনেছে রাজ্যের শাসকশিবির। তোপ দেগেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এই আবহেই কার্যত পরিস্থিতি সামাল দিতে ও আতঙ্ক দূর করতেই যেন এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করল কমিশন। এদিন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ভোটার প্রক্রিয়া নিবিড় পরিমার্জন আগেও হয়েছে। যার সবচেয়ে তাজা উদাহরণ বিহার। এই প্রক্রিয়ায় কখনওই কোনও বৈধ ভোটারকে তালিকাচ্যুত করা হবে না। এই রকম একটা সময় ভোটারদের মনে প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই কমিশন একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। যাতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টার মধ্য়ে ফোন করে সংশ্লিষ্ট ব্য়ক্তি এসআইআর নিয়ে তাঁদের মনে তৈরি হওয়া সংশয় দূর করতে পারবেন।’
কমিশনের দেওয়া সেই হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৮০০-১১-১৯৫০। তারা এও জানিয়েছে, দেশের যে কোনও রাজ্য ও কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা এই নম্বরে ফোন করে তাঁদের আঞ্চলিক ভাষায় যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারবেন। অর্থাৎ ফোন করা যাবে বাংলা থেকেও। তবে কেউ যদি এই নম্বরে ফোন করতে না চান, তাঁরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন নিজেদের বুথের বিএলও-দের সঙ্গে। কমিশন জানিয়েছে, ‘বিএলও-রাও ভোটারদের মনে তৈরি হওয়া সংশয় দূর করতে তৎপর। তাঁদের দেওয়া নম্বরে ভোটাররা ফোন করে এসআইআর সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।’
