নয়া দিল্লি: সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রার্থী ঠিক করতে বিরোধী শিবিরে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রকাশিত বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, আজই নির্বাচন কমিশনের তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। জুলাই মাসের ২৫ তারিখ রাষ্ট্রপতি হিসেবে রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। ভারতীয় সংবিধনের ৬২ তম ধারা অনুযায়ী এরপরই নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সব মিলিয়ে ৭৭৬ জন সাংসদ এবং ৪ হাজার ১২০ জন আইন প্রণেতা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেবেন। নির্বাচক গোষ্ঠীতে ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩ টি ভোট রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বধীন এনডিএ-র কাছে বিধায়ক সাংসদ মিলিয়ে মোট ভোটের ৪৮.৯ শতাংশ ভোট রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের জোটসঙ্গী এবং সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি যেন এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে ‘স্বস্তিদায়ক’ অবস্থানে থাকে। এমনটা হলেই পছন্দসই ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করা সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিজেপি কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। সেই কারণে জোটসঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীণ পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ইতিমধ্যেই কথাবার্তা শুরু করেছে বিজেপি। অন্যদিকে বসে নেই বিরোধী শিবিরও। তারা যৌথভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে। ইতিমধ্যেই প্রার্থীর নাম ঠিক করা নিয়ে বিরোধী শিবিরে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তেলঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন। ইতিমধ্যেই শরদ পাওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেসিআর। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই নির্বাচনে বিরোধীরা যদি, ভাল ফল করতে পারে, তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কড়া টক্কর দেওয়া সম্ভব হবে। এখন কবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়, সেটাই এখন দেখার।