নয়া দিল্লি: দেশের সব রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার কয়েকটি জায়গায় পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। মঙ্গলবার, ৪ মে প্রকাশ হবে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ফলাফল। ফল প্রকাশ হলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে, আগামী ৫ বছর কার হাতে থাকবে দেশের শাসনভার। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
কী বলল কমিশন, একনজরে-
লোকসভা নির্বাচনে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। কমিশনার রাজীব কুমার জানালেন ভারতে মোট ৬৪২ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬৪.২ কোটি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এই সংখ্যা জি৭-এর সদস্য দেশগুলির মোট ভোটারের তুলনায় দেড় কোটি গুণ বেশি।
গতবারের তুলনায় এবার পুনর্নির্বাচনের সংখ্যা অনেক কম। কমিশন জানিয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যেখানে ৫৪০টি পুনর্নির্বাচন হয়েছিল, এবার সেখানে মাত্র ৩৯টি পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। কমিশনার জানান, ভোটকর্মীদের কাজের চাপের কথা মাথায় রেখে কম পুনর্নির্বাচন করা হচ্ছে।
গত চার দশকের মধ্যে এবার সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে, জানাল নির্বাচন কমিশন। কমিশনার বলেন, উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্র দ্বারা নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত।
কমিশনার বলেন, “এবার প্রথমবার ভোটে হিংসা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার মতো জায়গায় আগে কী হত, তা আপনারা দেখেছেন। এবার শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য ২ বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না।”
কমিশনার বলেন, “২৪-এর লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন শুধু ১০ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এটাও কমিশনের তৎপরতার ফল। আগে কীভাবে টাকা ছড়ানো হত, মদ, শাড়ি দেওয়া হত, তা আপনারা দেখেছেন। দক্ষিণ ভারতে কীভাবে টাকা দেওয়া হত দেখেছেন।”
কমিশন উল্লেখ করেছে, হেলিকপ্টার চেক হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। কমিশনের দাবি, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হোক বা কোন বড় নেতা, যেই হেলিকপ্টারে যাত্রা করেছেন, তাঁর হেলিকপ্টারই চেক করা হয়েছে।
নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে ৪৯৫ টি অভিযোগের মধ্যে ৯০ সমাধান করা হয়েছে। ৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছে।
গণনা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, কখন, কী হবে, সব ঠিক করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কোনও ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই নেই। একটা ঘড়ির মতো কাজ করবে সবকিছু।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে গত সাতটা দফায় যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, তাতে কমিশন আশাবাদী যে মানুষ বুলেটের থেকে বেশি ব্যালটকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং দেবে। এরপরও যদি হিংসা হয়, তাহলে নির্বাচনবিধি প্রত্যাহার হওয়ার পরেও নির্দিষ্ট সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কয়েকটি জায়গার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।