Jacqueline Fernandez: দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 23, 2022 | 9:31 AM

Enforcement Directorate: ইডি অভিযোগ করে, আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতেই জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে লুকআউট সার্কুলার জারি থাকায় তিনি দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে পারেননি।

Jacqueline Fernandez: দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির
বিপাকে জ্যাকলিন।

Follow Us

নয়া দিল্লি: ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে বলিউড অভিনেত্রী জ্য়াকলিন ফার্নান্ডেজের। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার দিল্লির আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে জানানো হয়, সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটির তোলাবাজি মামলায় তদন্ত চলাকালীনই ভারত ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। শুধু তাই নয়, ওই মামলা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন কিক, রেস-থ্রির অভিনেত্রী।

দিল্লির আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন জ্যাকলিন। সেই মামলারই শুনানি চলছিল শনিবার। জ্য়াকলিনের আইনজীবী জানান, ইডির তরফে মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি পাঠানো হয়নি। আদালতের তরফে এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয় যে ইডি যেন মামলার যাবতীয় নথি অভিনেত্রীকে পাঠানো হয়। আগামী ১০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

অন্যদিকে, ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, তদন্ত চলাকালীন তথ্য় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন। তদন্তের স্বার্থে তাঁর ফোন পরীক্ষা করার আগেই জ্যাকলিন একাধিক তথ্য ডিলিট করে দিয়েছিলেন। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও করা হয় ইডির তরফে।

ইডি অভিযোগ করে, আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতেই জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে লুকআউট সার্কুলার জারি থাকায় তিনি দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে পারেননি। আর্থিক প্রতারণা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তথ্য প্রমাণ পেশ করা হলেও, জ্যাকলিন তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেন। অভিনেত্রীর আচরণ নিয়েও আদালতে অভিযোগ করা হয় ইডির তরফে।

২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। তাঁর সঙ্গেই জ্য়াকলিন ফার্নান্ডেজ়ের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। জ্যাকলিন ছাড়াও বলিউডের অপর অভিনেত্রী নোরা ফতেহির নামও জড়িয়েছিল আর্থিক প্রতারণা মামলায়। অভিযোগ, জ্য়াকলিন ও নোরা ফতেহি- দুইজনই সুকেশের কাছ থেকে দামি গাড়ি, ব্য়াগ, জুতো নিয়েছিলেন।

Next Article