নয়া দিল্লি: আরও চাপে পড়লেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। দিল্লি আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতিতে (Delhi Excise Policy Scam) তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বুধবার ইডির তরফে আদালতে জানানো হয় যে আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া সহ আবগারি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অন্যান্যরা একাধিক প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। তারা ঘনঘন মোবাইল ফোনও বদল করেছে প্রমাণ লোপাট করতে।
বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানায়, আবগারী দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া ও দিল্লির ব্যবসায়ী অমিত অরোরা ১১টি ফোন বদল করেছেন। প্রত্য়েকটি ফোনই কয়েকদিন বা কয়েক মাসের জন্য ব্যবহার করেছেন তারা। যেই সময়ে দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল, সেই সময়েই সিসোদিয়া ও তাঁর সহকারীরা ঘনঘন ফোন বদল করেছিলেন। এই মামলা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে মণীশ সিসোদিয়া ও অমিত অরোরার বিরুদ্ধে।
ইডি আদালতে জানায়, গোটা দুর্নীতিই ধামাচাপা দিতে যাবতীয় প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মদ ব্যবসায়ী, সরকারি শীর্ষ আধিকারিক, আবগারি মন্ত্রী (মণীশ সিসোদিয়া) সহ অধিকাংশ অভিযুক্তই একাধিকবার ফোন বদল করেছিলেন। সমস্ত ফোনের দাম মিলিয়ে প্রায় ১.৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছিল।
বুধবার এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যবসায়ী অমিত অরোরাকে সাত দিনের ইডি হোফাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবারই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। হেফাজতের জন্য ইডির তরফে যে আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয় আদালতে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, অমিত অরোরা একজন মদ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২.৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। ওই টাকার একটা বড় অংশ দেওয়া হয়েছিল আপ নেতা বিজয় নায়ারকে।