নয়া দিল্লি: গতকালই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলায় গতকালই কংগ্রেস সাংসদকে জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কাল ১০ ঘণ্টা জেরার পরও রাহুলকে এখনই নিস্তার দিতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধীকে আজ আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি কংগ্রেসের অর্ন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকেও (Sonia Gandhi) তলব করেছিল ইডি। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সনিয়া গান্ধী। সম্প্রতি ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের বিরুদ্ধে নতুন করে বেআইনি অর্থ লেনদেনের মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ট্রায়াল কোর্টের কাছে আসা প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগের পরই নতুন করে এই মামলা রুজু করা হয়েছিল।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া ও রাহুলকে ইডি তলবের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করার অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। সোমবার রাহুলের জেরার পর আরও একবার সেই অভিযোগ তুলেছে দেশের শতাব্দী প্রাচীন দল। গতকাল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে পায়ে হেঁটে দিল্লির ইডি দফতরে গিয়েছিলেন রাহুল। দলের শীর্ষ নেতাদের তলবের পর থেকেই গোটা দেশেই ইডি দফরের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। দিল্লিতে কংগ্রেসের মিছিলকে অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। মিছিল শুরু হয়ে ইডি দফতরের দিকে এগোতেই পি চিদম্বরম, অধীর চৌধুরী, কেসি বেণুগোপাল, দীপেন্দর হুডা এবং জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেস নেতাদের আটক করেছিল পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলাকালীন পড়ে গিয়ে পাঁজরের হাড় ভাঙে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের। কংগ্রেস নেতাদের আটক করে তুঘলক রোড থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সনিয়া-রাহুলের ইডি তলবকে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে কংগ্রেস। সেই কারণেই এদিন ‘সত্যাগ্রহ’ মিছিল করে ইডি দফতেরর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। গোটা দেশেই এই মুহূর্তে ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস। একের পর এক নির্বাচনে তার প্রমাণও মিলেছে। সেই কারণে বিজেপি বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ অস্ত্রতেই শান দিতে চাইছে কংগ্রেস। আজ রাহুলের জেরা নিয়ে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।