দিল্লি: দিল্লিতে ইডি দফতরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ চালকল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে। শনিবার দীর্ঘ প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় ৬৬ লক্ষ টাকা তিনি দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
গতকাল (শনিবার) সন্ধে সাতটা নাগাদ দিল্লির ইডি দফতর থেকে বের হন রাজীব ভট্টাচার্য। বেরনোর সময় তাঁর মুখে হাসি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এ দিন রাজীবকে অনুব্রতর স্ত্রী-র চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কি জানতেন যেই সময় তিনি টাকা দিয়েছেন সেই সময় অনুব্রতর স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে? চিকিৎসার কাজেই কি সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছে? কেষ্ট ঘনি ষ্ঠকে তদন্ত সংক্রান্ত এমনই একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন কেষ্টকন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সেইদিনও রাজীব ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠানো হয় ইডি দফতরে। সূত্রের খবর, ওইদিন প্রথমে তাঁদের আলাদা-আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, দ্বিতীয় দফায় মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।
ইডি-র যদিও দাবি কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছিল সেদিন। সেই কারণে ফের শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় রাজীবকে। সারাদিনে তিনি দু’বার বাইরে আসেন। পরে বিকাল থেকে তৃতীয় দফার জেরা শুরু করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরে সাতটা নাগাদ হাসিমুখে ইডির দফতর থকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
তবে একা রাজীব নন, ইডি-র নজর রয়েছে অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির দিকেও। প্রাথমিকভাবে দিল্লি সদর দফতরেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিপত্রও জমা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূ্ত্রের খবর, আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাঁদের জেলায় ফেরার কথা রয়েছে।