নয়া দিল্লি: গরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেনের ৭ দিনের হেফাজত শেষ হচ্ছে আজ। কেষ্টর দেহরক্ষীকে আজ ফের আদালতে পেশ করবে ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর। দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে পেশ করে আরও ৭ দিনের হেফাজতে চাওয়ার সম্ভাবনা। এর আগে সিবিআই বিশেষ আদালতে সায়গলকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল ইডির আইনজীবী। তবে সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত। ৭ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয় কেষ্টর দেহরক্ষীকে।
প্রসঙ্গত, দিন পাঁচেক আগেই গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনের বিরুদ্ধে পাওয়া যাবতীয় তথ্য ইডি-র হাতে তুলে দেয় সিবিআই। । কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, গত কয়েক মাসের তদন্তে সায়গল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে বিপুল টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র হাতে ৫০০ পাতার একটি নোট তুলে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এক সাধারণ পুলিশ কর্মী হয়ে কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, এত বৈধব, তারই উৎস খুঁজে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই-এর দেওয়ার তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যেই সায়গলকে জেরা করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগসূত্রের প্রমাণ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। তার ভিত্তিতেই জেরা। পাচারের টাকাতেই এই বৈধব বলে তদন্তকারীদের অনুমান। এর আগে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তদন্তের স্বার্থে এদিন আদালতে আবারও হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে ইডি। সূত্র মারফত তেমনটাই খবর।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় কয়েক মাস আগে অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে নেমে সিবিআই সায়গলের কোটি কোটির টাকার সম্পত্তির হদিশ পায়। আর্থিক বিষয়টি জড়িয়ে পড়ায় গত সপ্তাহে সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। সেই সময়েই সিবিআই-এর তরফে সায়গলের বিরুদ্ধে ৫০০ পাতার নথি দেওয়া হয় ইডি-র হাতে।