নয়া দিল্লি: অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক চলছে। শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, অগ্নিবীরদের পরিবারের সদস্যরা এমনকি ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকেও অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অগ্নিবীরদের শহিদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। অগ্নিবীরদের পেনশন দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। এই বিতর্কের আবহেই, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই), অগ্নিবীরদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সেস এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সেস-এ প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য এখন ১০ শতাংশ করে আসন সংরক্ষণ করা হবে। অগ্নিবীর প্রকল্পে অফিসার ক্যাডারের নীচু পদে নিয়োগ পাওয়া যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিযুক্ত সেনাদের, বাহিনীতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ-সহ মোট ৪ বছর পরিষেবা দিতে হয়। এই পরিষেবার মেয়াদ ফুরোলে, এখন থেকে এই তিন বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকছে অগ্নিবীরদের জন্য।
আরপিএফ-এর ডিরেক্টর, মনোজ যাদব বলেছেন, “ভবিষ্যতে, রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীতে কনস্টেবল পদের জন্য সমস্ত নিয়োগে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। আরপিএফ তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। প্রাক্তন অগ্নিবীরদেরও এটা নতুন শক্তি দেবে এবং তাদের মনোবল বাড়াবে।” সিআইএসএফ-ও এই বিষয়ে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর ডিরেক্টর নীনা সিং। তিনি বলেছেন, “কনস্টেবলের ১০ শতাংশ শূন্যপদ প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপরন্তু, শারীরিক দক্ষতা পরীক্ষাতেও তারা শিথিলতা পাবেন।” বিএসএফ-এর ডিরেক্টর, নিতিন আগরওয়াল বলেছেন, “সৈন্যরা, আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। এর থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। সমস্ত বাহিনীই এতে উপকৃত হবে। প্রাক্তন অগ্নিবীররা নিয়োগে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন।”
২০২২ সালের ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, ১৭.৫ বছর থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকদের চার বছরের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ বছর করেছে সরকার। এদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে আরও ১৫ বছরের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে রাখা হয়। সদ্য সমাপ্ত সংসদ অধিবেশনে, বিরোধীরা অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করেছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, অগ্নিবীরদের কেন্দ্র “ইউজ অ্যান্ড থ্রো কর্মী” হিসাবে বিবেচনা করে।