মুম্বই: প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) দলত্যাগের পর থেকেই একাধিক নেতার কংগ্রেস ত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। আজাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক চৌহানের (Ashok Chavan) কংগ্রেস ত্যাগের জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে। গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অশোকের বিজেপির যোগের সম্ভাবনা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আরও বেশি তীব্র হচ্ছিল। যদিও বিজেপি যোগের যাবতীয় জল্পনা অস্বীকার করেছিলেন অশোক। এই অবস্থায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মানিকরাও ঠাকরে।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইের সঙ্গে কথা বলার সময় মানিকরাও জানিয়েছেন এই মুহূর্তে কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র তদারকি করার জন্য নান্দেদে রয়েছেন অশোক। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, অশোক চৌহানের দলেরও পর কোনও ক্ষোভ নেই বরং নভেম্বরে রাজ্যের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র প্রস্তুতির কাজে তিনি ব্যস্ত। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহানকে নিয়ে জল্পনারও আরও একটি কারণ রয়েছে। ১২ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে অশোক অন্যতম যে মহারাষ্ট্র বিধানসভার আস্থা ভোটের সময় উপস্থিত ছিলেন না। ওই আস্থা ভোটে উদ্ধব ঠাকরেকে পরাজিত করে সেরাজ্যে একনাথ শিন্ডে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ মহারাষ্ট্রের ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। কংগ্রেসের এই মহা মিছিল মধ্য মহারাষ্ট্রের নান্দেদ, হিঙ্গোলি, ওয়াশহিম এবং পূর্ব মহারাষ্ট্রের বুলধানা হয়ে বিজেপি শাসিত মধ্য প্রদেশে প্রবেশ করছে। কংগ্রেসের তরফে মানিকরাওকে রাজ্যের সব জেলার কংগ্রেস কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও যাত্রার গুরুত্ব বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিগত কয়েকদিন ধরে তিনি নান্দেদ, হিঙ্গোলি, ওয়াশহিমে কংগ্রেসে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী বুলধনা জেলার জলগাঁও-জামোদে জনসভা করবেন।