দেরাদুন : বৌমার অভিযোগ সইতে না পেরে আত্মঘাতী উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী। বুধবার নিজের বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে উঠে পড়েন রাজেন্দ্র বহুগুণা। পুলিশের উপস্থিতিতেই নিজের উপর গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনার তিনদিন আগেই তাঁর বৌমা প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। নাতনির শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই প্রাক্তন মন্ত্রী এহেন পদক্ষেপ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
৫৯ বছর বয়সী রাজেন্দ্র বহুগুণা হালদওয়ানির বাসিন্দা। বউমার অভিযোগ নিজের নাতনির শ্লীলতাহানি করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। বউমার এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। এই অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি তিনি। বুধবার জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে বাড়ি থেকেই তিনি পুলিশকে এমার্জেন্সি নম্বর ১১২ তে ফোন করেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশকে নিজের আত্মঘাতী হওয়ার সমস্ত পরিকল্পনাও জানান তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক পঙ্কজ ভাট জানিয়েছেন যে, অভিযোগ নিয়ে তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন। ফোন পেয়েই তাঁর বাড়ি যায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে তিনি নিজের বাড়ির ট্যাঙ্কে পৌঁছে গিয়েছেন। এবং নিজেকে গুলি করার হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশ লাউডস্পিকার ব্যবহার করে তাঁকে সেখান থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই সেখান থেকে নেমে আসতে রাজি হননি। তাঁকে বারবার একটাই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এক সময় পুলিশের মনে হয়েছিল তিনি আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছেড়ে নেমে আসতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু তারপরই হঠাৎ করে তিনি বন্দুক তুলে নিজের বুকে গুলি করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় আত্মঘাতী প্রাক্তন মন্ত্রীর বৌমা, তাঁর বাবা ও প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলে অজয় বহুগুণা। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ায় মামলা দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৪-৫ সালের এনডি তিওয়ারির সরকারে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন রাজেন্দ্র বহুগুণা।