বেঙ্গালুরু : ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা এখনও মেটেনি। সামরিক পর্যায়ে বেশ দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। তবে তাতে বরফ গলেনি। এই আবহে শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তের সমস্যা না মিটলে ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। তিনি এদিন বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থানে ঠিক রয়েছি। তবে চিন যদি সীমান্তে শান্তি নষ্ট করে তাহলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতেও পারে না যদি না সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’
২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে দুই তরফের সেনাদেরই রক্ত ঝরে। সেইখানে বেশ কিছু জায়গায় বেআইনিভাবে দখল করা জমিতে নিজেদের ঘাঁটি গড়েছিল চিনা ফৌজ। সেখান থেকে চিনকে পিছু হটার দাবি জানিয়ে আসছে ভারত। তবে এখনও বেশ কিছু জায়গায় নিজেদের ঘাঁটি বজায় রয়েছে পিএলএ-র। সেই নিয়েই বাড়ছে উত্তেজনা। দফায় দফায় বৈঠকের পরও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি বিবাদের। এই আবহে ফের একবার ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে ফের এই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি এদিন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি এদিন আরও বলেন, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি যেখানে আমাদের সেনা নিযুক্ত ছিল, সেখান থেকে আমরা ধীরে ধীরে জওয়ানদের সরিয়ে নিচ্ছি।’
জয়শঙ্করের বক্তৃতায় এদিন চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রসঙ্গও ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়েছে। অন্য দেশের দখলে থাকা সার্বভৌম ভারতীয় ভূখণ্ডে তৃতীয় একটি দেশ কাজ করছে।’ এর আগে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (CPEC) প্রকল্পে একটি তৃতীয় দেশ অংশ নেওয়ার বিষয়ে অবগত ভারত। অন্য কোনও দেশ ভারতীয় ভূখণ্ডে একাজ করলে তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করছে।