নামী সংস্থায় চাকরিই কি সব? ‘খাবার খেতে পারত না, ভয়ে ঘুম ভেঙে যেত’, মেয়েকে হারিয়ে বাবা যা বললেন…

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Sep 20, 2024 | 12:17 PM

Work Pressure: অ্যানার বাবা সিবি জোসেফ বলেন, "অফিসের চাপেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। ওঁ প্রায় ঘুমাতোই না। খাবারও ঠিকভাবে খেত না। প্রতিদিনই মধ্য রাত পর্যন্ত কাজ করতে হত। রাত দেড়টার সময় পিজি-তে ফিরত। আমরা অনেকবার ওঁকে বলেছিলাম যে এই চাকরি ছেড়ে দিতে, কিন্তু ওঁ বলত, এত বড় ও সম্মানজনক ফার্ম এটা।"

নামী সংস্থায় চাকরিই কি সব? খাবার খেতে পারত না, ভয়ে ঘুম ভেঙে যেত, মেয়েকে হারিয়ে বাবা যা বললেন...
অ্যানা সেবাস্টাইন।
Image Credit source: X

Follow Us

কোচি: জীবনের প্রথম চাকরি। তাও আবার আন্তর্জাতিক সংস্থায়। নিজের ১০০ শতাংশই কাজের জন্য সঁপে দিয়েছিলেন যুবতী। কিন্তু শেষে যা পরিণতি হল, তা মানা যায় না। বছর ছাব্বিশের যুবতীর আত্মহত্যা নাড়া দিয়েছে গোটা দেশক। অভিযোগ, অফিসের অত্যাধিক কাজের চাপেই আত্নহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন যুবতী। যদিও ওই আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এবার মৃত যুবতীর বাবা সামনে আনলেন এমন সব ভয়ঙ্কর তথ্য, যা ভয় ধরানোর মতো।

অ্যানা সেবাস্টাইন পেরাভিল নামক পুণের বাসিন্দা ওই যুবতী কাজ করতেন আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং সংস্থায়। এটিই তাঁর জীবনের প্রথম চাকরি ছিল। তাঁর মৃত্যুর পরই যুবতীর পরিবার অভিযোগ করে, অফিসের অত্যাধিক চাপের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অফিসের সবাই-ই কমবেশি জানত এই কথা। এমনকী, তাঁর শেষকৃত্যেও কেউ আসেনি। মেয়ের মৃত্যুর পর ইওয়াই (EY)-র ভারতের চেয়ারম্যান রাজীব মেমানিকে চিঠি লেখেন তাঁর মেয়ে।

অ্যানার বাবা সিবি জোসেফ বলেন, “অফিসের চাপেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। ওঁ প্রায় ঘুমাতোই না। খাবারও ঠিকভাবে খেত না। প্রতিদিনই মধ্য রাত পর্যন্ত কাজ করতে হত। রাত দেড়টার সময় পিজি-তে ফিরত। আমরা অনেকবার ওঁকে বলেছিলাম যে এই চাকরি ছেড়ে দিতে, কিন্তু ওঁ বলত, এত বড় ও সম্মানজনক ফার্ম এটা। এখানেই কাজ করব।”

এই খবরটিও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, “ওঁ অফিস নিয়ে রোজ অভিযোগ করত। এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে আমরা বলেছিলাম যে চাকরি ছেড়ে দাও। জুলাই মাসে আমরা কার্ডিওলজিস্টের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলাম। চেক আপের পর চিকিৎসক বলেছিলেন যে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও, সঠিক খাবার ও ঘুমের প্রয়োজন।”

সংস্থার চেয়ারম্যানকে চিঠি লেখার প্রসঙ্গে ওই যুবতীর বাবা বলেন, “আমরা চিঠি লিখেছি যাতে আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তা বাকিদের সঙ্গে যেন না হয়। আমরা সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করব না।”

এদিকে, সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করে ওই যুবতীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করলেও জানানো হয়েছে, দেশে প্রায় ১ লক্ষ কর্মী কাজ করে। সকলেই পরিশ্রম করে, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি না যে কাজের চাপে প্রাণ গিয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফেও এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Next Article