AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladeshi: পকেটে ভারতীয় পাসপোর্ট, জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গিয়েই বেরিয়ে এল আসল পরিচয়

Fake Passport: ওই অফিসার বলেছেন, ”ভারতের জাতীয় সঙ্গীত এক লাইনও গাইতে পারেননি আনোয়ার। তখন অভিযুক্ত স্বীকারও করে নেন তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।”

Bangladeshi: পকেটে ভারতীয় পাসপোর্ট, জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গিয়েই বেরিয়ে এল আসল পরিচয়
প্রতীকী চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 6:37 PM
Share

চেন্নাই: অন্য দেশের নাগরিক। অবৈধ ভাবে এসেছিলেন ভারতে। এ দেশে এসে ভুয়ো নথি দেখিয়ে পাসপোর্টও বানিয়েছিলেন। সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু কোয়েম্বাটোর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সন্দেহ হয় ওই যুবককে নিয়ে। তাঁরা নাগরিকত্বের প্রমাণ নিতে ওই যুবককে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন গণ মন গাইতে বলেন। কিন্তু ওই যুবক তা গাইতে পারেননি বলে অভিযোগ। এতেই সন্দেহ বাড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের। তখন পাসপোর্ট বিস্তারিত ভাবে যাচাই করতেই দেখা যায় ওই ব্যক্তি আসলে ভারতীয় নন। তিনি বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে ভুয়ো নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট বানিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আদতে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার বালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে গত ২ বছর ধরে তিনি দর্জির কাজ করেন। পাসপোর্ট জালিয়াতিতে অভিযুক্তের নাম আনোয়ার হোসেন (২৮)।

ঘটনা নিয়ে এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, “শারজা থেকে আল আরবীয় সংস্থার একটি উড়ান ২৩ জানুয়ারি এসেছিল কোয়েম্বাটোর বিমানবন্দরে। সেই বিমানে আসা যাত্রীদের নিয়মমাফিক পরীক্ষা করছিলেন অভিবাসন দফতরের অফিসাররা। আনোয়ার হোসেন ওই বিমানে নেমেছিলেন বিমানবন্দরে। তাঁর পাসপোর্টে কলকাতার ঠিকানা লেখা ছিল। তাঁর পাসপোর্ট দেখে সন্দেহ হওয়ায় অফিসাররা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। কলকাতার ঠিকানা থাকলেও কেন তিনি তামিলনাড়ুতে নামলেন সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অফিসাররা তাঁর কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন সেগুলি ভুয়ো। তখন এক অফিসার তাঁকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। অফিসার তাঁকে পুরো গানও গাইতে বলেননি। বলেছিলেন প্রথম দুলাইন গাইতে।”

কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত ওই ব্যক্তি গাইতে পারেননি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ওই অফিসার বলেছেন, ”ভারতের জাতীয় সঙ্গীত এক লাইনও গাইতে পারেননি আনোয়ার। তখন অভিযুক্ত স্বীকারও করে নেন তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।” তদন্তে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুর জেলায় একটি সংস্থায় দর্জির কাজ করেছেন। জেরায় পুলিশকে আনোয়ার জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু এক এজেন্সির সাহায্যে ভুয়ো আধার কার্ড বানান। এর পর কলকাতার ঠিকানায় দেখিয়ে ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়েছিলেন। সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে আরবে কাজের খোঁজ করছিলেন। আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে আদালতেও তোলা হয়েছিল।