AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Faridabad Murder Case: বৌমা নিখোঁজ, কেঁদে-কেঁদে বলেছিলেন শ্বশুর, এই একটা ‘ভুলেই’ ২ মাস পর সমাধান হল সব রহস্যের

Faridabad Murder Case: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়বার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসতেই খুনের ছক তৈরি করে সিং পরিবার। ২৩ এপ্রিল রাতের দিকে বাড়ির সামনে জেসিবি এনে খোদাই করায় তারা। প্রতিবেশীদের জানায়, নিকাশির কাজের জন্য মাটি খুঁড়তে হচ্ছে। ঢাকা রাখে সত্যিটা।

Faridabad Murder Case: বৌমা নিখোঁজ, কেঁদে-কেঁদে বলেছিলেন শ্বশুর, এই একটা 'ভুলেই' ২ মাস পর সমাধান হল সব রহস্যের
এই গর্ততেই কেটেছে রহস্যImage Credit: X
| Updated on: Jun 21, 2025 | 6:01 PM
Share

লখনউ: দু’বছরও হয়নি বিয়ে হয়েছে। তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক পরিণতি যা কল্পনাও করতে পারেনি উত্তরপ্রদেশের সিখোবাদের রাজপুত পরিবার। এপ্রিল মাস থেকে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার শ্বশুর বাড়ির সামনে একটি গর্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে তাদের মেয়ের মৃতদেহ।

কী এমন হল তার সঙ্গে? এই চূড়ান্ত পরিণতির দায়টাই বা কার? মৃতের নাম তনু সিং। হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলায় অরুণ সিংয়ের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় তার। এবার শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল ওই মহিলার দেহ।

তনুর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়েতে অনেক টাকাই পণ দেওয়া হয়েছিল অরুণ সিংয়ের পরিবারকে। কিন্তু তারপরেও মেটে না ‘ক্ষিদে’। এমনকি, এক সময় অত্য়াচার সহ্য করতে না পেরে সে বাপের বাড়িতে ফিরে এসেছিল বলেও জানিয়েছে মৃতের পরিজনরা।

মৃতের বোন জানিয়েছেন, ‘দিদি আমাদের সঙ্গেই প্রায় এক বছর ছিল। কিন্তু দুই পরিবারের সিদ্ধান্তেই আবার ওকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে যেতেই ফের শুরু হয় অত্যাচার। এমনকি, তখন পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। অত্যাচার এতই বাড়ে যে আমাদের সঙ্গে দিদির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হঠাৎই একদিন খবর আসে যে সে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়বার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসতেই খুনের ছক তৈরি করে সিং পরিবার। ২৩ এপ্রিল রাতের দিকে বাড়ির সামনে জেসিবি এনে খোদাই করায় তারা। প্রতিবেশীদের জানায়, নিকাশির কাজের জন্য মাটি খুঁড়তে হচ্ছে। ঢাকা রাখে সত্যিটা। আসলে সেই গর্ত ছিল তনুর কবর। বাড়ি ফিরতেই তাকে খুন করা হয়। তারপর মাঝরাতে গর্ত খুঁড়ে সেখানেই প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলে দেওয়া হয় দেহটি। যা ইতিমধ্যেই জেরায় স্বীকার করেছেন অরুণের বাবা ভূপ সিং।

পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন, তার স্ত্রী অর্থাৎ তনুর শাশুড়ি ও স্বামীর অনুপস্থিতিতেই তাকে হত্যা করে সে। পরবর্তীতে প্রমাণলোপাট করতে মাটি খুঁড়ে কবর দেওয়া হয় ও দিনকয়েক পরে কেঁদে কেঁদে একটি নিখোঁজ অভিযোগ থানায় দায়ের করেন ওই ধৃত। এরপরেই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ দায়ের করে তনুর পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। প্রতিবেশীদের বয়ান ধরেই গর্তের কথা জানতে পারে পুলিশ। আর সেখানে খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে কঙ্কাল ও ছিঁড়ে যাওয়া জামাকাপড়। যা তনুর বলেই দাবি করে রাজপুত পরিবার।