লখিমপুর খেরি: তিনট বিতর্কিত কৃষি আইন (Farmer’s Law) নিয়ে আন্দোলন চলকালীন উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) ৮ জনকে গাড়ি চাপা দিতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। লখিমপুর খেরি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে জল সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছেছিল। তবে এর মধ্যে আরও এক অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য আবারও সংবাদ শিরোনামে উত্তর প্রদেশের এই গ্রাম। লখিমপুর হিংসার অন্যতম সাক্ষী ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নেতা (Bhartiya Kisan Union) দিলবাগ সিংকে (Dilbag Singh) মঙ্গলবার দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কৃষক নেতা যখন নিজের গাড়িতে গোলা কোতওয়ালি এলাকার আলিগঞ্জ-মুদা রোড হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময়ই তাঁকে গুলি করা হয়েছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরের ১৯ তারিখ লখিমপুর খেরি হিংসার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন দিলবাগ। সেখানে ৪ জন কৃষক, ৩ জন বিজেপি কর্মী ও ১ সাংবাদিককে গাড়ি চাপা দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় অজয় মিশ্রের পুত্র আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে। এরপর গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী-পুত্রকে।
কৃষক নেতার ওপর গুলি চালনার ঘটনা ঘটলেও এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন দিলবাগ সিং। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে কৃষক নেতা জানিয়েছেন, তিনি সুরক্ষিত রয়েছেন। অজ্ঞাত পরিচয় দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর গাড়ি চাকা লক্ষ্য করে গুলি করে এবং চাকা পাংচার করে দেয়। চাকায় গুলি লাগার পর তিনি গাড়ি থামাতে বাধ্য হয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, “তারা আমার গাড়ির দরজা ও জানালার কাচ খোলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা চালকের পাশের জানলা দিয়ে দুটি গুলির করে।” দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, তিনি গাড়িতে একাই ছিলেন এবং নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি জানিয়েছে, আততায়ীদের উদ্দেশ্য বুঝে তিনি ঝুঁকে গিয়েছিলেন, এবং সেই কারণে তাঁর গুলি লাগেনি। দিলবাগ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষে তাঁকে যে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল, এদিন তিনি ছুটিতে ছিলেন।
আক্রমণের ঘটনার পরই গোল কোতওয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এই কৃষক নেতা। অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ড বিধির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এএসপি জানিয়েছেন, কৃষক নেতার গাড়ি পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল পাঠানো হয়েছে।