Murder Case: ‘মেয়েকে খুন করেছি…’, রক্তমাখা অস্ত্র নিয়ে থানায় পৌঁছল বাবা
Murder Case: আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। কিন্তু সোমবার রাতে তিনি বুঝতে পারেন, লুকিয়ে যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর মেয়ে। সেটা বুঝতে পেরেই পিছু পিছু যান বাবা। তারপরই ঘটে যায় সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা।
উত্তর প্রদেশ: সাত সকালে থানায় হাজির এক ব্যক্তি। চোখ-মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। তারই মধ্যে তাঁর হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র চোখে পড়ে পুলিশের। রক্তে মাখামাখি সেই অস্ত্র দেখে শিউরে ওঠে পুলিশ। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই ব্যক্তি জানান, তিনি তাঁর মেয়েকে খুন করে এসেছেন। শুধু মেয়ে নয়, মেয়ের প্রেমিককেও খুন করেছেন বলে থানায় জানান তিনি। মঙ্গলবার সকালে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বদাযুঁ-তে।
বদাযুঁ জেলার বিলসি থানা এলাকার ঘটনা। ওই জেলার পারোলি গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে দেখে ফেলেছিলেন একসঙ্গে। আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। কিন্তু সোমবার রাতে তিনি বুঝতে পারেন, লুকিয়ে যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর মেয়ে। সেটা বুঝতে পেরেই পিছু পিছু যান বাবা। মেয়েকে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখে আর মাথার ঠিক রাখতে পারেননি। ধারাল অস্ত্রের কোপ মারেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবক-যুবতীর।
বদাযুঁ পুলিশের এসএসপি ওপি সিং জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টের দিকে ঘটনাটি ঘটে। মেয়ে ও তার প্রেমিককে খুন করেন বাবা। বেলচা দিয়ে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রক্তমাখা বেলচা নিয়ে থানায় পৌঁছন তিনি। পুলিশকে পুরো ঘটনা বলার পর আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রেমিক ও প্রেমিকার সম্পর্কের কথা অনেকেই জানতেন। তবে তাঁর বাবা এভাবে সামনে থেকে দেখেননি কখনও। আরও একটি অনার কিলিং-এর ঘটনা বলেই মনে করছে তাঁরা।